হিন্দোল দে, সুকান্ত দাস, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সোনা-প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করতে গিয়েছিল পুলিশ। সেই অভিযুক্তের বাড়িতেই মাটির নীচে হদিশ মিলল সুড়ঙ্গের। যা ঘিরে এখন শোরগোল কুলতলিতে।


বাইরে থেকে সাদামাটা একতলা বাড়ি, ভিতরে আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল। খাট সরাতেই, পাওয়া গেল সোজা নদীতে পৌঁছে যাওয়ার পথ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কুলতলিতে সোনা-প্রতারণার তদন্তে গিয়ে কার্যত চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা হল পুলিশের। সূত্রের দাবি, অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দারের একতলা বাড়িতে, মাটির নীচেও ঘর রয়েছে। 


সেই ঘরের ভিতর থেকে আবার খাল পর্যন্ত সুড়ঙ্গ আছে। একতলা বাড়ির পিছন দিকে একটি বন্ধ ঘর রয়েছে। এই ঘরের মধ্য়েই হদিশ মিলেছে সুড়ঙ্গের। পুলিশ সূত্রে দাবি, এখান দিয়েই গা ঢাকা দিত সাদ্দাম। ঘরের মেঝেতে খোঁড়া সুড়ঙ্গের শুরুতেই রয়েছে একটি গেট। সেখান থেকে সুড়ঙ্গ এসে মিশেছে পাশের খালে। পুলিশ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সেখান থেকেই এদিন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল মূল অভিযুক্ত। কিন্তু ধরা পড়ে যায়। এরপর পুলিশ যখন তাকে নিয়ে আসছিল, তখনই দাদাকে ছিনিয়ে নিয়ে পালায় ভাই!


কুলতলিতে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হল পুলিশকে। উর্দিধারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠল। সোমবার এই ঘটনা ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে।


পুলিশ সূত্রে দাবি পুরনো সোনা কম দামে বিক্রির নামে ১২ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সাদ্দাম সর্দার নামে এক ব্য়ক্তির বিরুদ্ধে। তাঁর বাড়ি কুলতলি থানার পয়তারহাট এলাকায়। যে বাড়ির বন্ধ ঘরের মধ্য়ে, সোমবার এই সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছে পুলিশ।


এই সুড়ঙ্গ দিয়ে বেরিয়েই খাল হয়ে পালাত সাদ্দাম। সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার SP জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে ধরতে গেলে তাঁর বাড়ির লোকজন ও গ্রামের বেশকয়েকজন বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। যারা নিজেরাও নকল সোনার কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে অনুমান। প্রায় শতাধিক লোক পুলিশকে ঘিরে ধরে। এরপর পুলিশ যখন অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে আসার চেষ্টা করে, ঠিক তখনই হামলা চালানো হয়। পুলিশের বক্তব্য়, অভিযুক্তের ভাই সাইরুল সর্দার এক পুলিশ অফিসারের গায়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে, দাদাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন দুজনকে ধাওয়া করে পুলিশ। দুই অভিযুক্ত পুলিশকে লক্ষ্য় করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়!কারও গায়ে গুলি না লাগলেও, গ্রামবাসীদের একাংশের মারধরে ২জন সাব ইনস্পেক্টর এবং একজন ASI জখম হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। এই ঘটনায় দুই ভাইয়ের স্ত্রীকে গ্রেফতার করলেও, মূল অভিযুক্ত ও তার ভাই পলাতক।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে


আরও পড়ুন: শরীরের এখানে তিল রয়েছে? জীবনে যে কোনও বিপদ এড়াতে পারবেন আপনি