কৌশিক গাঁতাইত, কুলটি: সাতসকালে বাড়ির সামনে জনবহুল এলাকায় গুলিতে ঝাঁঝরা সুদের কারবারি। কুলটির চিনাকুড়ি এলাকার ঘটনা। এলাকা থেকে ৬টি গুলির খোল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃতের নাম শম্ভু পণ্ডিত।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সকাল সোয়া ৭টা নাগাদ প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে চায়ের দোকানে যাচ্ছিলেন বছর তিপ্পান্নর ওই সুদের কারবারি। অভিযোগ, তিন দুষ্কৃতী একটি বাইকে চড়ে এসে তাঁকে লক্ষ্য করে পরপর ৬টি গুলি করে। সুদের কারবারির শরীরে তিনটি গুলি বিঁধে যায়। আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। খুনের কারণ এখনও ধোঁয়াশা। আততায়ীদের সন্ধান চালাচ্ছে কুলটি থানার পুলিশ।


পুলিশ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক পর্বে কিছু জানতে পেরেছে পুলিশ। যদিও সেটা এখনও খোলসা করেনি পুলিশ।


ঘটনাস্থল থেকে আড়াইশো মিটার দূরে নিহত ব্যবসায়ীর বাড়ি। প্রতিদিনের মতো ওই ব্যক্তি সকালে চায়ের  দোকানে আসছিলেন। সেই সময় তাঁর সামনে এসে দাঁড়ায় একটি বাইক। তিনজন বাইক আরোহী ছিল সেই বাইকে। সেই বাইক থেকে নামে ২ জন। সেই দুজন তাদের আগ্নেয়াস্ত্র বের করে পরপর গুলি চালায় শম্ভু পণ্ডিতকে লক্ষ্য করে। সেই গুলি লেগেই রাস্তার উপর লুটিয়ে পড়েন শম্ভু পণ্ডিত। 


যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। সেটা যথেষ্ট জনবহুল এলাকা। সকালে সেই এলাকায় একাধিক চায়ের দোকান খোলা থাকে, রয়েছে একাধিক খাবারের দোকানও। সাতসকালে এমন ঘটনায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। শুরু হয় ছোটাছুটি। সেই ফাঁকেই পালিয়ে যায় আততায়ীরা। শম্ভু পণ্ডিতকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।


ঘটনাস্থলে আসে কুলটি থানার পুলিশ। এলাকায় এসেছে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশও। দ্রুত শুরু হয়েছে এই খুনের তদন্ত। ব়্যাফ ও পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকায়। ওই এলাকায় কোথাও কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। ফলে তদন্ত করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। 


কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার বলেন, 'আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেট এলাকায় প্রায়শই এমন ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও এমন খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেটার কোনও তদন্ত হয়নি। এদিনও এমন ঘটনা ঘটে গেল। লোকজন আতঙ্কিত।' দ্রুত তদন্ত করে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারির দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। 

আরও পড়ুন: মেঘমুক্ত ঝকঝকে আকাশ, চুটিয়ে হোক ঠাকুর দেখা, সুখবর দিল আবহাওয়া দফতর