কলকাতা: প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই ১০০০ দিন পার করেছে এসএলএসটি আন্দোলনকারীরা (SLST Protesters)। আজ শিক্ষামন্ত্রী এবং আন্দোলনকারীর মধ্যে ছিল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। সবারই প্রশ্ন ছিল দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে তবে মিটল দীর্ঘদিনের জটিলতা ? না পুরোপুরি না কাটলেও সরকারের তরফে 'আশার আলো' দেখতে পেয়েছেন এসএলএসটি আন্দোলনকারীর দল। এইভাবে ঘনঘন কমিউনিকেশন দুই তরফে চলতে থাকলে যে দ্রত সমস্যার সমাধান মিলবে, এনিয়ে প্রকাশ্যে দাবি জানালেন আন্দোলনকারীরা এবং একই সুর কুণাল ঘোষ তথা শিক্ষামন্ত্রী তথা ব্রাত্য বসুর (Kunal Ghosh and Bratya Basu)।
কুণাল ঘোষ এদিন বলেছেন, 'যারা বাধা দিচ্ছেন , তারাই আবার ধর্নামঞ্চে গিয়ে বিপ্লবী সাজছেন ! তারা চাইছেন সেই ধর্নাগুলি চলুক, এবং সেই মঞ্চগুলিকে তাঁরা রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করবেন। কিন্তু আমাদের বক্তব্য, যাদের দোষে, এই ভূলগুলি হয়েছে, তাঁদের তদন্ত বিচার একটা পার্ট। কিন্তু চাকরির জটটা তো খুলতে হবে। যে ছেলেমেয়েগুলি এই কর্মপ্রার্থী হয়ে রয়েছে, সেই জটটা খোলার একটা প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে আইন একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে রয়েছে। ফলে আমরা আশাবাদী, অন্দোলনকারী এবং সরকারের মধ্য়ে একটা ঘনঘন কমিউনিকেশনের মধ্যে দিয়ে অদূর ভবিষ্যতে এই জটটা কাটবে।'
কুণালের দাবি, অভিষেক ও মমতার হস্তক্ষেপের ফলেই শূন্য পদগুলি বেড়েছিল।কারও না কারও ভূলেই জটটা পেকেছিল। এবার এখন জটটা খোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার যখন সেটা করতে রাজি হলেন, তখন আবার সিবিআই চেয়ে আদালতে যাওয়া হচ্ছে।অনেকে চাইছে ইস্যুটাকে জিইয়ে রাখতে। আর আমরা চাইছি, যাদের চাকরি দরকার, সেই জট খুলে তাঁদের নিয়োগ, তাঁরা যেনও ক্লাসে গিয়ে ক্লাসটা নিতে পারে।'
অপরদিকে, ব্রাত্য বসু বলেছেন,' কিছু আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আমি বরাবরই বলে গিয়েছি, আদলতের নির্দেশক্রমে মহামান্য আদালত যেভাবে চাইবে, আমরা সেইভাবেই নিয়োগ দেব। আশা করছি যে এই আইনি জটিলতা তাড়াতাড়ি কেটে যাবে। আমি আগেও যা বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দিতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই চাকরি দেবেন। এই জট আমরা দ্রুত কাটিয়ে দিতে পারবো। '
আরও পড়ুন, 'SSKM-এ ভর্তি করা যায়নি BJP নেতাকে', বিস্ফোরক চাকদার বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ
এসএলএসটি আন্দোলনকারীদের দাবি, সমস্যার সমাধান কীকরে হয়, তার জন্যই আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং আন্দোলন আন্দোলনের মতেই চলবে। আলোচনা বৈঠক চলবে সমস্যা সমাধানের জন্য। আগামী ২২ তারিখে এই দফতরে দুপুর ২ টোর সময় মিটিং হবে। যারা যারা ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই থাকবেন। এই বৈঠকে তাঁরা 'খুশি' বলেই জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের তরফে আরও দাবি করা হয়, 'এই বৈঠক এবং এই কমিউনিকেশন যদি চলতে থাকে, আমরা বিশ্বাস করি সমস্যার সমাধান আসবে। এবং অতিদ্রুত নিয়োগ পেয়ে হাসিমুখে গ্রহণ করব।'