জলপাইগুড়ি: আজ মুম্বইয়ে যখন দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে 'INDIA' , ঠিক তখনই ধূপগুড়িতে ঝড় তোলেন অধীর ও সেলিম। এদিন কেন্দ্রের মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানানো হয়। যদিও আক্রমণের পরপরই এবার পাল্টা তোপ এল তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের তরফে।
ধূপগুড়িতে অধীর-সেলিমের সভার পর কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, 'অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিম বিজেপির দালালি করছেন, বাংলায় বিজেপির দুই ভাই, সিপিএম ও কংগ্রেস'। মূলত এদিন মহম্মদ সেলিম প্রশ্ন তুলে বলেন, 'ভাইপোকে কেন বিদেশে যেতে সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে? অনেক সাংসদ আছে, তাঁরা বিজেপির না তৃণমূলের কেউ জানে না । দুর্নীতি হলে ইডি-সিবিআই ডাকবে, আদালত বলবে কেন তদন্ত এগোচ্ছে না। রায়গঞ্জের এইমস মোদি-দিদি সেটিংয়ের কারণে কল্যাণীতে চলে গেছে। তৃণমূলে যারা পচে গেছে, তারাই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি হয়েছে।'
সেলিম আরও বলেন,'লুঠের টাকা বিজেপি ও তৃণমূল নেতাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে', ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ মহম্মদ সেলিমের। পাশাপাশি, তোপ দাগতে ছাড়েননি অধীরও।এদিন ধূপগুড়িতে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে রীতিমত তোপ দাগতে শোনা যায়। 'জোটের শক্তি বাড়ছে, জিতবে ইন্ডিয়া। প্রধানমন্ত্রী ১০০ টাকা বাড়িয়ে ২ টাকা দাম কমান। গরিবের পকেট থেকে লুঠ করেছে মোদি সরকার। গরিবের উন্নতির কথা মোদি সরকার কখনও ভাবেনি', নিশানা করা হয়।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী সমর্থন জানিয়েছিল বামেরা। আর এবার ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে বামফ্রন্টের প্রার্থীকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। ১ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়িতে বাম প্রার্থীর সমর্থনে একসঙ্গে সভা করন মহম্মদ সেলিম (Md Selim) ও অধীর রঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Choudhury)। এদিকে, তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ে বসেছে বিজেপি বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠক। বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের যে বৈঠকে এক টেবিলে হাজির কংগ্রেস, বামেরা ও তৃণমূল। রাহুল থেকে সীতারাম ইয়েচুরি বিরোধী দলেরই শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত বৈঠকে। আর এহেন পরিস্থিতিতেই মুম্বইতে দোস্তি আর ধূপগুড়িতে কুস্তি দেখা গেল এদিন।
আরও পড়ুন, 'ভাইপোকে কেন বিদেশে যেতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে?..', ফের সেলিমের মুখে মোদি-মমতা সেটিং-তত্ত্ব
তৃণমূলের পক্ষ থেকে বঙ্গ বাম ও কংগ্রেসের যে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হয়েছে, এই ধরণের পদক্ষেপ কাঙ্খিত নয়। যেদিন বিজেপি বিরোধী জোটগুলি একছাতার তলায় এসে বৈঠক করছে, সেদিনই এভাবে প্রকাশ্যে বাম-কংগ্রেসের তৃণমূলের বিরুদ্ধে জনসভা না করলেি পারত। যদিও কংগ্রেস ও বামেদের সাফ বক্তব্য, বাংলায় তাঁদের লড়াই বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে তৃণমূল বা বিজেপি প্রার্থীকে টেক্কা দিয়ে ভোটে জিতে নিতে একসঙ্গে ময়দানে অধীর ও সেলিমরা।