কলকাতা: এবার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) নিশানায় টালিগঞ্জের স্টুডিওপাড়ার একাংশ (Tollywood Industry)। 'পশ্চিমবঙ্গকে কলঙ্কিত করতে মুম্বইয়ে ছবি তৈরি হয়েছে, কী করছে টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রি? বিশেষ করে সেই সমস্ত প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, যাঁরা তৃণমূলের পদাধিকারী..., যাঁরা ক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছেন, মমতা-অভিষেকের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করছেন।' বাংলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে কী পদক্ষেপ টালিগঞ্জের শিল্পীদের? প্রশ্ন তুললেন কুণাল। (RG Kar News)
এবার কুণাল ঘোষের নিশানায় বাংলা ইন্ডাস্ট্রি
আরজি কর কাণ্ডের মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফের সক্রিয় কুণাল ঘোষ। শুক্রবার একটি পোস্ট করে কুণাল লেখেন, 'আফসোস লাগে। মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা এমন কিছু রাজনৈতিক ছবি করেন যা সমাজে বিজেপির পক্ষে ন্যারেটিভ তৈরি করে। এবার তো বাংলা নিয়েও কুৎসার ঝুলি আসছে। অথচ টলিগঞ্জের বাবু/বিবিরা, যাঁরা মমতাদির পাশে, দলে, মঞ্চে, ছবির ফ্রেমে থাকেন, তাঁরা নিজেদের ইমেজ গড়তে, পেশার সৌজন্য নিয়ে ব্যস্ত।' বাংলার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার রুখতে তাঁরা কী করছেন? প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ।
কুণালের আক্রমণ, 'দিদির পাশে ছবি দিয়ে গুরুত্ব বাড়ান, কিন্তু মমতাদির বায়োপিক বা তৃণমূলের পক্ষে বার্তা যেতে পারে, এমন কোনও সিনেমার কথা তাঁরা ভাবেন না। বরং টেকনিশিয়ানরা অনেক বেশি দরদী। এঁরা অনেক বড় নাম হতে পারেন, কিন্তু এঁদের অনেকেই দলের বোঝা। দলের সুসময়ে এঁরা হাত নেড়ে সামনে থাকেন। একটু বিতর্কিত ইস্যুতে দল পড়লেই এঁরা মুখ খোলা বন্ধ করেন। সামনে থেকে মানুষকে বোঝানোর কাজে এঁদের পাওয়া যায় না। দল না বললে কর্মসূচি, ট্যুইটেও পাওয়া যায় না। এই যে এবার বাংলাকে কুৎসিত আক্রমণ করে ছবি আসছে, সারা দেশে/বিদেশে বাংলার ইমেজ খারাপ করার চক্রান্ত, এঁরা জানেন না? অথচ এঁরা তার পাল্টা কিছু করবেন না, করতে চাইবেন না। এঁদের কেউ কেউ আন্তরিক। বাকি ক্ষমতাশালী তারকাদের নিয়ে দল ভাবুক।'
প্রসঙ্গত, আজই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি এই 'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল'। ছবির ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ছবির পোস্টারেই তার কারণ স্পষ্ট। 'দ্য ডায়েরি অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল' ছবির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জনস্বার্থ মামলাও করা হয়। যদিও ছবির মুক্তিতে হস্তক্ষেপ করতে নারাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই ছবি মুক্তি পেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, সেই আশঙ্কায় জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্টের মন্তব্যের পরদিনই এমন পোস্ট কুণাল ঘোষের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।