কলকাতা : বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়-কে (Partha Chatterjee) নিয়ে দলের অবস্থান আরও একবার স্পষ্ট করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি জানান, "যত বড় নেতাই হোন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।"


বিকাশের খোঁচা-


পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যের শাসকদলকে খোঁচা দেন সিপিএম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তিনি মন্তব্য করেন, পার্থবাবুর টাকা দিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। এখন বললে হবে এর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই? গোটা তৃণমূল দল এবং প্রশাসনই দুর্নীতিতে জড়িত। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং যুক্ত। তদন্ত ঠিকমতো হলে পার্থর যা হাল হয়েছে, কাল মুখ্যমন্ত্রীরও তাই হওয়া উচিত।


আরও পড়ুন ; তৃণমূল কাউকে অন্য়ায় করতে বলেনি, বললেন কুণাল, পার্থর টাকাতেই সমৃদ্ধ দল, পাল্টা বিকাশের


এই পরিস্থিতিতে আজ এই ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান স্পষ্ট করেন কুণাল। তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ হোক। ইডির তথ্য-প্রমাণকে আদালত মান্যতা দিলে পার্থর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল। যত বড় নেতাই হোন, তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকার তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।


পার্থ-ইস্যুতে তৃণমূল-বিরোধী তরজা-


স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায়, দীর্ঘ দিন ধরেই তদন্তকারীদের নজরে পার্থ। শুক্রবার সকালে আচমকাই তাঁর নাকতলার বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর তদন্তকারীরা। সেখানে তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া নথির সূত্র ধরে তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতার সন্ধান মেলে। তাঁর বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। 


বিষয়টি সামনে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। দলীয় নেতৃত্বের নজর এড়িয়ে এতবড় দুর্নীতি সম্ভব নয় বলে মত বিরোধীদের। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ খারিজ করেছে। দলের হয়ে কুণাল বলেন, "তৃণমূলের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই তৃণমূলের। যাঁর বা যাঁদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, এব্যাপারে তাঁরাই বলতে পারবেন।"