কলকাতা: তৃণমূলের আর 'তারকা' নন কুণাল ঘোষ। এবার তৃণমূলের তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে নাম বাদগেল তাঁর। পদ থেকে অপসারণের পর তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে বাদ কুণাল। তৃণমূলের পঞ্চম দফার তালিকায় ৪০ জন তারকা প্রচারক, নাম নেই কুণালের। তবে কুণাল জানিয়েছেন, এ নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর। নাম বাদ যাওয়ায় রোদে ঘোরাঘুরি থেকে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। (Kunal Ghosh)


তারকা প্রচারকদের তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কুণাল। তিনি বলেন, "কোনও তারকা প্রচারক থাকুক বা না থাকুক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক যে ভাবে প্রচার করছেন, তাতে এমনিতেই ৩০-৩৫টি আসন পাবে তৃণমূল। মমতাদি, অভিষেককে বাদ দিলে কয়েক জন অবশ্যই ভাল বক্তৃতা করেন। কিন্তু যে দলের নেতাদের শুভেন্দু অধিকারীকে চোর বলার আগে তিন বার শৌচাগারে যেতে হয়, তাদের আবার কোন তালিকা?" (TMC Removes Kunal)


কুণাল জানান, শুভেন্দুকে চোর, জালিয়াত, দলবদলু বলার সাহস দেখিয়েছেন একা তিনিই। তৃণমূলের আর কোনো নেতার সেই সাহস নেই। বিরোধী দলের নেতারা যখন কুৎসিত ভাষায় মমতা-অভিষেককে আক্রমণ করেন, তখন সাত-পাঁচ না ভেবে তিনি নিজে থেকে আক্রমণ করেন। ব্যক্তিগত সম্পর্ক না থাকা সত্ত্বেও নেমে পড়েন। 


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh: আফশোস নেই বলেও কেঁদে ফেললেন, কথা বলতে গিয়ে ধরে এল গলা, কর্মীদের পাশে পেয়ে আবেগপ্রবণ কুণাল


এদিন ফের দেবকে নিশানা করেন কুণাল। তিনি জানান, মমতা 'গদ্দার' বলে আক্রমণ করেছিলেন সুকান্তকে। সেই সুকান্তকে বালুরঘাটে গিয়ে মিষ্টি কথা বলেন দেব। কুণালের দাবি, যে মিঠুন চক্রবর্তী মমতাকে সরাসরি কুকথা বলেছেন, তাঁকে দেব 'বাবার মতো', 'অভিভাবক' বলে সম্বোধন করে নেত্রীর বিরুদ্ধে গিয়েছেন। তাহলে দেবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হল না কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাই তারকা প্রচারক তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়া নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "তারকা প্রচারক মমতাদির বিরোধিতা করেছে। এমন তারকা যত ভরে যাবে দলে, সাধারণ কর্মীরা যত কোণঠাসা হবেন, দলের নিশ্চই ভাল হবে! ঈশ্বর ওঁদের মঙ্গল করুন।" শুভেন্দুকে 'চোর' বলতে যাঁদের ভাবতে হয়, তাঁরা তারকা হলে ভালই, এমন মন্তব্যও করেন কুণাল।


পঞ্চম দফার আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে তারকা প্রচারকদের যে তালিকা জমা দিয়েছে তৃণমূল, তা থেকে কুণালের নামটি বাদ পড়েছে। তালিকার একেবারে শীর্ষে নাম রয়েছে মমতার। নাম রয়েছে অভিষেক, শত্রুঘ্ন সিনহা, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, মানস ভুঁইয়া, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক, বাবুল সুপ্রিয়, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, দেব, শশী পাঁজা, মহুয়া মৈত্র, কীর্তি আজাদ, শতাব্দী রায়, সায়নী ঘোষ-সহ মোট ৪০ জনের।