কলকাতা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধিকারী পরিবারের (Adhikary Family) দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তার আগেই এক্স হ্যান্ডলে শিশির অধিকারীর সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (TMC leader Kunal Ghosh)।
নথি দেখিয়ে পোস্টে তিনি লেখেন, ২০০৯-র শিশির অধিকারী যখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন নির্বাচনী হলফনামায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১০ লক্ষ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তথ্য অনুযায়ী ২০১২-য় সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ কোটি টাকা। ২০১৯-এ ৩ কোটি। কুণালের প্রশ্ন, এই পরিসংখ্যান সত্য না মিথ্যা? ১০ লক্ষ থেকে কীভাবে ১০ কোটি হল? আবার ১০ কোটি কমে হল ৩ কোটি? এটা কি ম্যাজিক? শিশির অধিকারীর সম্পত্তির খতিয়ান বলে নথি পেশ করে পোস্টে খোঁচা কুণালের।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা বলেন, 'কারও কারও ৬০, ৭০, ৮০টা নানা লোকে নানা বলে ট্রলার আছে। কত বেনামি বাড়ি আছে, কত পেট্রোল পাম্প আছে, কত কোটি কোটি টাকা আছে, তারা বড় বড় কথা বলে কী করে? আমরাও কাগজপত্র বের করছি, এতদিন করিনি। আমরা কি দেখতে গেছি হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটি যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন আগে, মন্ত্রী থাকাকালীন, কোনটা, কোন জমিটা কত টাকায় বিক্রি করেছেন ? দিঘা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বানিয়ে দিলাম ভাল কাজ করার জন্য, কত জমি দিয়েছে? ৬০০ হোটেল তৈরি হয়েছে। আমরা একবারও জানতে গেছি? জানিনি।'
পাল্টা জবাবে শুভেন্দু সাংবাদিকদের সামনাসামনি হয়ে বলেছিলেন, 'আপনার ভাইপো আপনার পরিবারে ইনকাম ট্যাক্সে কিছু দেখানো নেই। পেট্রোল পাম্প কটা সব বৈধ। আপনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগের পেট্রোল পাম্প। ইনকাম ট্যাক্স দেখে নেবেন। '২১ সালে শুভেন্দু অধিকারীর হলফনামা দেখে নেবেন, আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া, আধিকারী পরিবার আপনার মতো ওই রকম কালীঘাটের নালার পাশে লোকের জায়গা জবরদখল করে বড়লোক হয়নি।'
আরও পড়ুন, দোকান বিক্রি করায় TMC-কে ৭ হাজার চাঁদা, বিল বইয়ে মমতা ও অভিষেকের ছবি !
বিশেষ করে জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতারের পর মেজাজ সপ্তমে শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের একাংশের। তাই এবার আর ধীরে সুস্থে নয়, একেবারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে, অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের যাবতীয় কারচুপি প্রকাশ্যে আনবেন বলে হুঁশিয়ারী দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তবে চুপ বসে নেই বিজেপিও। কুণাল ঘোষের বিশ্বাসযোগ্যতা কোথায় ? পাল্টা প্রশ্ন তুলে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষও।