দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  দোকান বিক্রি করায়, তৃণমূলের (TMC) দলীয় তহবিলে দিতে হয়েছে ৭ হাজার টাকা চাঁদা! রীতিমতো বিল বই ছাপিয়ে চলছে তোলা আদায়। বিল বইয়ে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি (Mamata Banerjee and Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ নামখানার এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ, ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় দোকান বিক্রি করায় তৃণমূলের তহবিলে তাঁকে দিতে হয়েছে ৭ হাজার টাকা। ঘটনার কথা স্বীকার করে তৃণমূল ব্লক নেতৃত্বের দাবি, গ্রামের বুথ সভাপতি ও তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ভাইকে শো-কজ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, জানুয়ারির মাসের শুরুতেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। শীতলকুচির লালবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের ঠিকাদার নুর ইসলামের অভিযোগ ছিল, লালবাজার অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নূর বক্ত মিয়া একটি রাস্তা তৈরীর জন্য তাঁর কাছ থেকে আশি হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। তিনি তা না দেওয়ায় সেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। যদিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে দাবি তাঁর। অভিযুক্ত মূল বক্তব্য টাকা চাওয়ার, একটি অডিও সেসময় ভাইরালও হয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছিল অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতি। তবে এই বিষয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির পাশেই দাঁড়িয়েছিল ব্লক নেতৃত্ব। 


এখানেই শেষ নয়, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে শালিমার পেন্টসে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছিল। হাওড়ার নাজিরগঞ্জ পুলিশ আউটপোস্টে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। দঃ হাওড়া তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের প্রেসিডেন্ট সাজ্জাদ আলি শেখ। সাজ্জাদ শেখের বিরুদ্ধে ফোনে সিকিওরিটি অফিসারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মোটা টাকা চেয়ে শালিমার পেন্টসের সিকিওরিটি অফিসারকে হুমকির অভিযোগ উঠেছিল। দলবল নিয়ে এসে কারখানার ভিতরে হামলার চেষ্টার অভিযোগ ছিল কারখানা কর্তৃপক্ষের। শালিমার পেন্টসে তোলাবাজির অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা সাজ্জাদ শেখ। '২০১৪-য় কারখানায় আগুন লাগার পরেই উৎপাদন বন্ধ', কর্মীদের বকেয়া চেয়ে আন্দোলন করায় মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। 


আরও পড়ুন, 'মমতার মুখোমুখি বসাতে হবে..' শুভেন্দু ইস্যুতে পাল্টা সজল


প্রসঙ্গত, দলবদলের পর কয়লাপাচার মামলার ইস্যুতে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে যোগদান করেই তৃণমূলের যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন, একুশের বিধানসভার আগেই। আর এবার লোকসভা ভোটের আগে একাধিক দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েটের।