হিন্দোল দে এবং সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: খাস কলকাতায় স্ত্রীকে খুন স্বামীর। হরিদেবপুরে বাড়িতে ঢুকে কুপিয়ে খুন স্ত্রীকে। স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে আসার মৃত ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে খুন করেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন স্বামী। পুলিশ সূত্রের খবর, বিষ খেয়েছেন ওই ব্য়ক্তি। অচেতন অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।


সূত্রের খবর, বিয়ের পরই আলাদা থাকতেন যুবক-যুবতী। গণ্ডগোলের জেরেই চরমে বিবাদ এবং হামলা, খবর পুলিশ সূত্রে। রেজিস্ট্রি হয়েছে বলে পরিবারের তরফে দাবি। নিহতের মায়ের দাবি, রেজিস্ট্রি হলেও সামাজিক বিয়ে হয়নি। মেয়ে ওই যুবকের সঙ্গে থাকতে চাইছিল না। সেই নিয়েই বিবাদ হয়। অন্তত ১ বছর আগে রেজিস্ট্রি হলেও সেই বিয়ে মানতে চাইছিলেন না মেয়েটির বাড়ির লোকজন।


হরিদেবপুর থানার অন্তর্গত রামকৃষ্ণনগরে রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণীর নাম কৃষ্ণা দে। বয়স ২১ বছরের মতো। তিনি মায়ের সঙ্গে বাড়িতেই ছিলেন। রাতে আচমকা ওই বাড়িতে ঢুকে পড়ে তরুণীর স্বামী। আচমকাই পিছন থেকে ওই তরুণীকে লক্ষ্য করে পরপর ছুরির কোপ বসিয়ে দেয়। মা ঘরে এসে দেখতে পাওয়ার পরই দৌড়ে বেরিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। তারপর চিৎকার-চেঁচামেচিতে চলে আসেন পড়শিরা। ওই তরুণীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তার নাম শুভেন্দু দাস। তিনি পেশায় অটোচালক বলে জানা গিয়েছে। স্ত্রীকে কোপ বসিয়েই বিষ খান তিনি। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


কেন এমন ঘটনা?
সূত্রের খবর, পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সম্পর্কের টানাপড়েন থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্ত তরুণী এবং অভিযুক্ত যুবকের মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল। আলাদা থাকা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল বলে শোনা গিয়েছে, তাতেই এমন নৃশংস ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া, এই ঘটনার নেপথ্যে আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


খুনের ঘটনা আলিপুরদুয়ারে:
হোটেল বাউন্সারের রহস্যমৃত্যু ঘিরে তপ্ত হয়ে উঠেছে আলিপুরদুয়ার শহর। রাস্তায় দেহ রেখে চলল বিক্ষোভ। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান পরিজনরা। পথ অবরোধ করলেন পরিজনরা। আলিপুরদুয়ারের ভোলারডাবড়ির বাসিন্দা গৌরব মুখোপাধ্যায় একটি হোটেলে বাউন্সারের কাজ করতেন। পরিবারের দাবি, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ তিনি ফোন করে বাড়ি ফিরছেন বলে জানান। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি গৌরব। সকালে কালচিনির ডিমা নদীর ব্রিজের পাশে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত দেহ। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে রবিবার পথে নামেন মৃতের বন্ধু ও পরিজনরা। বক্সা ফিডার রোডের কোর্ট মোড়ে দেহ রেখে চলে বিক্ষোভ।


আরও পড়ুন: বিমান চালানোর স্বপ্নে ধাক্কা! পরে তিনিই হয়ে ওঠেন ভারতের 'মিসাইল ম্যান'