পানিহাটি: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার পানিহাটি পুরসভায় (Panihati Municipality) নোটিস পাঠাল CBI (CBI Sends Notice Panihati Municipality)। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ২০১২ সালের পর থেকে কারা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁদের নাম জানতে চাওয়া হয়েছিল। তা জমা দেওয়া হয়েছে।


কী জানা গেল?
ডায়মন্ড হারবার, ব্যারাকপুর, বারাসাতের পর এবার সিবিআই স্ক্যানারে পানিহাটি পুরসভা। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তৃণমূল পরিচালিত পানিহাটি পুরসভাকে নোটিস পাঠাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত পানিহাটি পুরসভায় কারা উপ-পুরপ্রধান ছিলেন? তাদের নাম, ফোন নম্বর ও ঠিকানা চেয়ে ই-মেল পাঠিয়েছে সিবিআই।  পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সম্প্রতি একাধিক পুরসভায় অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন ED-র অফিসাররা। CBI জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী এবং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র-সহ একাধিক তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান।  এই আবহে এবার পানিহাটি পুরসভাকে নোটিস পাঠাল সিবিআই। ED সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, গত ১৯ মার্চ প্রোমোটার অয়ন শীলের সংস্থা ABS ইনফোজোনের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি ও ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। সূত্রের দাবি, বিভিন্ন পুরসভা থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। রীতিমতো রেট বেঁধে পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরি বিক্রির তালিকা প্রকাশ করে ইডি। 

প্রেক্ষাপট...
সম্প্রতি ED-সূত্রে দাবি করা হয়, বিভিন্ন পুরসভায় অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছেন, এরকম দেড় হাজারের বেশি জনের নামের তালিকা তৈরি করেছে তারা। উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের তলব। চলতি সপ্তাহেই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই। বরানগর, কামারহাটি, পানিহাটি, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম পুরসভার কর্মী- আধিকারিকদের বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শুরু করছে সিবিআই। ২০১৪-র পর থেকে যে সমস্ত নিয়োগ হয়েছে, তা নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, খবর মেলে সূত্রে। জানতে চাওয়া হয় কোন পদে নিয়োগ হয়েছে, কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, খবর সূত্রের। ঘটনাচক্রে, রেশন বণ্টনেও বেলাগাম দুর্নীতি নিয়েও হইচই শুরু হয়েছে এলাকায়। কয়েকদিন আগে দুই জেলার ১২ জায়গায় ED-র ম্য়ারাথন অভিযান চলে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে দাবি, তদন্তে সন্ধান মিলেছে মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর। বাকিবুর রহমান নামে ওই ব্যবসায়ীর একাধিক ঠিকানায় হানা দেন ED-র আধিকারিকরা। ED সূত্রে দাবি, একাধিক মোবাইল ফোন-সহ প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়।


আরও পড়ুন:এসি বন্ধ থাকায় বচসা! অ্যাপ ক্যাবে মহিলা আইনজীবীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ