আবির দত্ত ও জয়ন্ত রায়, কলকাতা: লেক গার্ডেন্সে শ্যুটআউটের পিছনে সম্পর্কে টানাপড়েন ছিল বলে গতকালই সন্দেহ করা হয়েছিল। তদন্তের যা গতিপ্রকৃতি তাতে এবার উঠে আসছে ত্রিকোণ প্রেমের ইঙ্গিত। গেস্ট হাউসের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে 'সুইসাইড নোট', তা থেকেই এমন অনুমান পুলিশের। যিনি মারা গিয়েছেন, সেই যুবক পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার এবং বজবজের বাসিন্দা। তাঁর হাতে কীভাবে আগ্নেয়াস্ত্র এল সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
কী রয়েছে ওই নোটে?
দীর্ঘদিনের সম্পর্কের মাঝে ঢুকে পড়েছিল তৃতীয় ব্যক্তি। আর তা থেকেই ক্রমশ টানাপড়েন। তার জেরেই কি লেক গার্ডেন্সের গেস্টহাউসের ঘটনা? পুলিশের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে রাগের বশে প্রেমিকাকে গুলি করে আত্মঘাতী হন ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, গেস্ট হাউস থেকে উদ্ধার হয়েছে চারপাতার সুইসাইড নোট। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বজবজের বাসিন্দা মৃত যুবক সিভিক ভলান্টিয়ার। মৃতের দাদার দাবি, তরুণীর সঙ্গে ৭ বছরের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ, লিভ-ইন (Live in) করার সময় তৃতীয় ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তরুণী। তা নিয়েই শুরু হয় বিবাদ (love triangle)।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম রাকেশ শাহ, বয়স ২৬। আহত তরুণী নিক্কু কুমারী দুবে, বয়স ২৪। দু'জনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বিদ্য়াসাগর রোডের বাসিন্দা। বুধবার দুপুরে লেক গার্ডেন্সের একটি গেস্ট হাউসের ৩০১ নম্বর রুমে ওঠেন তাঁরা। গেস্ট হাউসের কর্মীদের দাবি, আচমকা গুলির শব্দ শুনতে পান তাঁরা। তারপরেই তরুণী রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন। কয়েক মিনিটের মধ্য়ে দ্বিতীয় গুলির শব্দ শোনা যায়। ঘরে গিয়ে দেখা যায় পড়ে রয়েছেন রাকেশ। পরে তাঁকে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় যোধপুর পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তরুণীকে।
কোন অস্ত্র?
পুলিশ জেনেছে, ওই ঘটনায় মুঙ্গেরে তৈরি ৭ এমএম পিস্তল ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই পিস্তলে চারটি গুলি ছিল। যার মধ্যে ব্যবহার করা হয় ২টি গুলি। কিন্তু আগ্নেয়াস্ত্রটি কীভাবে পেলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার? ঠিক কী কারণে যুগলের মধ্যে বিবাদ বেধেছিল? অন্য ব্যক্তি কে? সবই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: 'যাঁদের থেকে আমি উপকৃত তাদের পাশে দাঁড়াই', মুকুলকে দেখতে দিয়ে জানালেন সৌমিত্র খাঁ