রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: শিশু কোলে বাড়িতে ঢুকে সোনাদানা, ল্যাপটপ-সহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। দুই ভবঘুরে মহিলাকে গ্রেফতার করল লেকটাউন থানার পুলিশ (Laketown Police Station)। লেকটাউন (Laketown), দমদম পার্ক (Dumdum Park) এলাকায় বেশ কয়েকমাস ধরে পরপর কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, বাচ্চা কোলে নিয়ে দুই মহিলা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে খাবার চাইছে। এরপর বাড়ির সদস্যদের অন্যমনস্কতার সুযোগে তারা মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে চম্পট দিত অভিযোগ। নেপথ্যে বড়সড় চক্র কাজ করছে বলে পুলিশের দাবি। 


শিশু কোলে নিয়ে খাবার চেয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন! অভিযোগ বাড়ির সদস্যরা অন্যমনস্ক হলেই, সেই সুযোগেই চুরি! এঁদেরই  হাতসাফাই দেখে চমকে উঠেছেন সবাই। অবশেষে পুলিশের জালে দুই ‘ভবঘুরে’ মহিলা। পুলিশ সূত্রে খবর, লেকটাউন, দমদম পার্ক এলাকায় বেশ কয়েকমাস ধরে পরপর কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে।


সোনাদানা, ল্যাপটপ-সহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বেশ কিছু অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে লেকটাউন থানার পুলিশ। দমদম পার্ক এলাকায় বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীর।


আরও পড়ুন: Kolkata: বাগুইআটির আবাসন থেকে উদ্ধার ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ, পারিবারিক অশান্তির জেরে আত্মহত্যা?


এক সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বাচ্চা কোলে নিয়ে দুই মহিলা বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে খাবার চাইছে, এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ব্যাগ হাতে পালাচ্ছে। সেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে শনিবার দমদম পার্ক এলাকা থেকে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লাগাতার চুরির ঘটনায় আতঙ্কত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা! 


পুলিশের দাবি, জেরায় চুরির কথা স্বীকার করেছেন ধৃত দুই মহিলা। ধৃতদের কাছে উদ্ধার হয়েছে চোরাই মোবাইল। নেপথ্যে বড়সড় চক্র কাজ করছে। 


হাওড়ায় চুরি: কিছুদিন আগে হাওড়ায় চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে চোরেদের উপদ্রবে নাভিশ্বাস উঠেছে বিদ্যালয়ের। ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার আন্দুলের উত্তর মৌড়ি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। একের পর এক চুরির ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এর প্রতিবাদে অভিভাবকরা আজ দীর্ঘক্ষণ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।  এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বিদ্যালয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ: আন্দুলের উত্তর মৌড়ি কেশবচন্দ্র নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে চুরির উপদ্রব বেড়েছে। রাতের অন্ধকারে চোরেরা স্কুলের দরজা এবং জানলা ভেঙে মিড ডে মিল রান্নার বাসনপত্র, চাল, ডাল, তেল ,মসলা, বিদ্যালয়ের পাখা, আলো এবং বইপত্র চুরি করে চম্পট দেয়। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে বিদ্যালয়ের রাঁধুনির বাড়িতে রান্নার জিনিসপত্র এবং গ্যাস সিলিন্ডার প্রতিদিন রান্নার পর রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বেশ কয়েকবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ডোমজুড় থানায় জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ।