রুমা পাল, কলকাতা: লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ (Gita Path)। অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে, অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংসকৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম। ২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ হাজার ৮টি শঙ্খধ্বনিতে।                                                   

  


গতবার মায়াপুরে একসঙ্গে ৫ হাজার মানুষ গীতা পাঠ করেছিলেন। আর এবার, ব্রিগেডে হবে লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ। অভিনব এই উদ্যোগ নিয়েছে, অখিল ভারতীয় সংসকৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম। 


এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মঠ-মিশনের আশ্রমিক থেকে স্কুল পড়ুয়া, প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারাও। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আয়োজকদের দাবি, এই বিরল অনুষ্ঠানের জন্য রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের সব বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদের আয়োজক এবং লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠ মানস ভট্টাচার্য বলেন, 'সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, নেপথ্যে রাজনীতি নেই।


২৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ হাজার ৮টি শঙ্খধ্বনিতে।               


এদিকে, বারাণসীর ধাঁচে দেব-দীপাবলি এবার কলকাতায়! রাজ্য সরকার ও কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে, ২৬ ও ২৭ নভেম্বর, দু’দিন ধরে দেব-দীপাবলির আয়োজন করা হয়েছে। প্রিন্সেপ ঘাট থেকে গঙ্গার ধার বরাবর আলোর মালায় মুড়ে ফেলা হবে। বিশেষভাবে সাজানো হবে বাবুঘাটকে।          


আরও পড়ুন, ঊর্ধ্বমুখী গয়নার দাম, এরই মধ্যে ধনতেরসে সোনার দোকানে ভিড় ক্রেতাদের


কলকাতায় গঙ্গা পুজো দিয়ে হবে দেব-দীপাবলির সূচনা। তারপর থাকবে গঙ্গারতি এবং সাংসকৃতিক অনুষ্ঠান। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, গঙ্গাবক্ষে ১০টি নৌকা আলো দিয়ে সাজানো থাকবে। সেইমতো কলকাতা পুরসভা ও পুলিশের প্রতিনিধিরা বুধবার গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনে যান। 


দেব-দীপাবলি উদযাপনের কারণ নিয়ে পুরাণে নানা মত আছে। কেউ দেব-দীপাবলি উদযাপন করেন তিনজন মহাবলশালী অসুরের ওপর শিবের বিজয়লাভের দিন হিসেবে।  কেউ আবার দেব-দীপাবলির দিনটিকেই দেব সেনাপতি কার্তিকের জন্মদিন হিসেবে স্মরণ করেন। 


কারণ মতে আবার, দেব-দীপাবলিতেই তাঁর প্রথম মৎস্য অবতার ধারণ করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু। নানা মতের নানা রঙের সেই দেব-দীপাবলি উপলক্ষ্যে এবার সেজে উঠতে চলেছে কলকাতাও। এবার দেব-দীপাবলির জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে বাবুঘাট।