ঝিলম করঞ্জাই, পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা :

  আর জি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের পর ২৪ দিন পার  হয়ে গিয়েছে। এখনও কিনারা হয়নি। এখনও নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে রাত জাগছে মহানগর। কোনও রাজনৈতিক পতাকা ছাড়াই রবিবার সারারাত জেগেছে নাগরিক সমাজ। ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ। একটাই দাবি, বিচার ! এই আবহেই সোমবার লালবাজার অভিযানের ডাক দিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট।


তাঁদের দাবি, এতদিন পর্যন্ত যা যা দাবি করে এসেছেন তাঁরা, তার কিছুই পূরণ হয়নি। ৯ অগাস্ট থেকে একই তিমিরে রয়ে গিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, সেদিন থেকে তাঁরা সন্দীপ ঘোষকে বরখাস্ত করার দাবি করে আসছেন, হয়নি। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ দাবি করেছেন, হয়নি। নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন, হয়নি। আর নির্যাতিতার আসল অপরাধীদের খোঁজও মেলেনি। এই সবকিছুর দাবি তুলেই আজ তাঁদের লালবাজার অভিযান। 


লালবাজার অভিযান করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর তা পুলিশ হেডকোয়ার্টার অবধি যাতে কিছুতেই পৌঁছতে না পারে, তার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। মিছিল যাবে কলেজ স্কোয়ার থেকে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ হয়ে মহাত্মা গান্ধী রোড ধরে। তাই বৌবাজারেই গড়ে তোলা হচ্ছে লৌহপ্রাচীর। নবান্ন অভিযান রুখতে যেমন দুর্ভেদ্য লৌহ পরিখা তৈরি করা হয়েছিল, তেমন ভাবেই ৯ ফুটের গার্ডরেলে আটকানো হয়েছে রাস্তা। তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে শিকল দিয়ে। বিশাল মোটা মোটা সেই শিকল, অনেকটা লঞ্চ বাঁধার শিকলের মতো। এই লৌহকপাটের আগেই যাতে ডাক্তারদের মিছিল আটকে যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 


জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ, ধর্ষণ-খুনের প্রমাণ লোপাটে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। ১৪ অগাস্ট রাতে আর জি কর মেডিক্যালে হামলার সময় কেন নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ? প্রশ্ন তুলে বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নামছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।


সোমবার দুপুর দুটোয় কলেজ স্কোয়ারে জমায়েতের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে মিছিল করে লালবাজার অভিযান। 


অন্যদিকে সোমবারই আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জেলায় জেলায় ডিএম অফিস ঘেরাও অভিযান করছে বিজেপি। বর্ধমানে একেবারে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। কার্জন গেটের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তুমুল ধস্তাধস্তি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন:


সন্দীপের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে এগিয়েছিলেন তিনিই, তদন্তে প্রথম আখতারকেই ডাকল ED