কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান : পোষ্য বিড়ালদের খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটের মধ্যে বচসা। বচসার জেরে বাড়ির মালিককে ভাড়াটে ধাক্কা মারলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতরভাবে জখম হন বাড়ির মালিক। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের নাম সন্দীপ দত্ত, বয়স ৫২ বছর। বাড়ি বর্ধমান শহরের বিজয় পল্লী কালনা রোড এলাকায়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাড়াটে সোমনাথ রায়কে গ্রেফতার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।                 

Continues below advertisement

মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে সন্দীপ দত্ত বাড়িতে পোষ্য বিড়ালদের খাবার দিতে গেলে, খাবার দেওয়াকে কেন্দ্র করে ভাড়াটে সোমনাথ রায়ের সাথে বচসা হয় সন্দীপ দত্তর। সন্দীপবাবুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বচসা চলাকালীন হঠাৎ করেই সোমনাথ রায় ধাক্কা মারেন সন্দীপ দত্তকে। আচমকা ধাক্কার ফলে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতরভাবে জখম হন সন্দীপ দত্ত। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সন্দীপবাবুর এ হেন আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া এলাকায়। 

পোষ্য বিড়ালদের খেতে দেওয়া নিয়ে বচসা, আর তার জেরে যে একজনের প্রাণই চলে যাবে, এমনটা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করেননি মৃত সন্দীপ দত্তের পরিবার। বিড়াল ভালবাসতেন সন্দীপবাবু। পোষ্যকে তাই খেতে দিতে গিয়েছিলেন। তাও নিজের বাড়িতেই। সেখানেই হল বিপত্তি। ভাড়াটের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন বাড়ির মালিক। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে যায় যে সটান সন্দীপবাবুকে ধাক্কা মারে তাঁর ভাড়াতে সোমনাথ রায়। সজোরে ধাক্কা খেয়ে আর টাল সামলাতে পারেননি সন্দীপ দত্ত। সিঁড়ি দিয়ে গড়িয়ে সোজা পড়ে যান তিনি। গুরুতর চোট পান। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। এই গোটা ঘটনায় স্বভাবতই শোকস্তব্ধ মৃতের পরিবার। অভিযুক্ত ভাড়াটে সোমনাথ রায়ের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃত সন্দীপ দত্তর পরিবার।                                      

Continues below advertisement