কলকাতা: প্রয়াত সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর মৃত্য়ুতে শোকের চায়া নেমে এসেছে গোটা দেশে। বিশেষ করে সঙ্গীত জগতের মানুষ জন তাঁর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন লোপামুদ্রা মিত্রও (Lopamudra Mitra)। দ্বিতীয় লতা মঙ্গেশকর কখনও তৈরিই হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। 


রবিবার সকালে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। প্রায় এক মাস ধরে সেখানে ভর্তি ছিলেন তিনি। প্রবাদপ্রতিম শিল্পীর মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে এবিপি আনন্দকে ফোনে লোপামুদ্রা বলেন, ‘‘লতা মঙ্গেশকরের চলে যাওয়া ভারতের কাছে অন্য রকম একটা শোকের জায়গা। যে কেউ, যত যা-ই করে থাকুন না কেন, দ্বিতীয় লতা মঙ্গেশকর আর তৈরি হবে না।’’


মৃত্যুকালে শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। এ বছর সেপ্টেম্বরে ৯৩-এ পা দিতেন তিনি। এর পাশাপাশি শরীরে থাবা বসিয়েছিল করোনাও। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা এবং করোনা, দুইয়ের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। 


এ প্রসঙ্গে লোপামুদ্রার বক্তব্য, ‘‘যতই বয়স হোক না কেন, ওঁর চলে যাওয়া সকলের কাছে ক্ষতি, সকলের কাছে শোক। এই সমস্ত মানুষ চলে যান। কিন্তু রেখে য়ান নিজেদের সমস্ত শিল্পকীর্তি। আমাদের কাছে এ টুকুই সান্ত্বনা। উনি চলে গেলেও, ওঁর কাজ, শিল্প, গান, আমাদের সঙ্গে চিরকাল থাকবে।’’


আরও পড়ুন: Lata Mangeshkar Death: মানুষ চিরকাল থাকে না, কিন্তু উনি তো দেবী! লতার স্মৃতিচারণায় হৈমন্তী শুক্লা


সুদীর্ঘ শিল্পীজীবনে প্রায় ৩০ হাজার গান গেয়েছেন কোকিলকণ্ঠী লতা মঙ্গেশকর। কিন্তু তাঁর মতো অমায়িক মানুষ দেখেননি বলে জানান হৈমন্তী শুক্লা। তাঁর কথায়, ‘‘লতাজি বলেই এক বার মাত্র কোরাসে গাইতে রাজি হয়েছিলাম। শুধু ওঁর পাশে থাকতে পারব বলে। কত কথা যে মনে পড়ছে। উনি তো স্বয়ং সরস্বতী। আমরা মেয়েরা যআঁরা গান করি, সবার তো ওঁকে দেখেই আসা। কী অসম্ভব জ্ঞান। অথচ কী অমায়িক। ওঁর বাড়িতেও গিয়েছি আমি। কিন্তু কেউ এত অনাড়ম্বর হতে পারেন, না দেখলে বোঝা যায় না।’’


শিল্পী হিসেবে দেশ-বিদেশ থেকে অজস্র পুরস্কার এবং সম্মান পেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। ভারত সরকার তাঁকে ‘ভারতরত্ন’, ‘পদ্ম বিভূষণ’, ‘পদ্মভূষণ’। ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার’-এ সম্মানিত করেছে। বাংলা, হিন্দি, মারাঠি-সহ প্রায় ৩৬টি ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।