হাওড়া: 'আসবে দিদির দূত (didir dyut), আসবে ভূত', উলুবেড়িয়ার সভা থেকে একেবারে চাঁচাছোলা আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। কোনও রাখঢাক নয়, নন্দীগ্রামের (nandigram) বিজেপি (BJP) বিধায়কের (MLA) সাফ কটাক্ষ , 'রাজ্যের বড় ডাকাত চোর ধরতে বেরিয়েছেন। ডাকাত বলছে চোর ধরুন। ছোট চোর ধরতে পারবেন তো?'
আর কী বললেন?
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এদিনের দুটি সভাতেই চড়া সুরে শাসকদলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। আবাস-যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্যের নানা প্রান্তে তোলপাড় চলছে। নাম জড়িয়েছে শাসক-বিরোধী দুই পক্ষেরই। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে একহাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'বাড়িতে নিয়ে যাবেন, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা পেল না। ভাঙা বাড়িগুলি দেখাবেন।' এর পরই আসে 'দুয়ারে সরকার' থেকে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-র মতো একের পর এক প্রকল্প নিয়ে আক্রমণ। বিরোধী দলনেতার সপাট প্রশ্ন ছিল, 'নতুন করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আবেদন করার পর পেয়েছেন?' সঙ্গে কটাক্ষ, 'আসছে দিদির দূত, আসছে ভূত।'
'দিদির দূত' নিয়ে দু-চার কথা...
এদিনই নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে, তৃণমূলনেত্রীর সামনে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় 'দিদির দূত' অ্যাপের কথা ঘোষণা করেন। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভোটকে পাখির চোখ করে আগামী ৬০ দিন তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি পরিকল্পনা করা হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই ১০ কোটি মানুষের জন্য নতুন অ্যাপ দিদির দূত, ঘোষণা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানান, অ্যাপের মাধ্যমে ১৫টি পরিকল্পনা পৌঁছে দেওয়া হবে মানুষের কাছে। ৩৫০ জন নেতা-নেত্রী আগামী দু'মাস গ্রামে গ্রামে পৌঁছবেন। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষ পাচ্ছেন কি না, তা দেখা হবে। Google Play থেকে এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে। উল্লেখ্য, দুয়ারে সরকার -এর পর তৃণমূল কংগ্রেসের অপর প্রকল্প ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ তৃণমূল স্তরের সঙ্গে আরও মজবুত করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা, ' এবার মানুষের দরজায় পৌঁছবে তৃণমূল কংগ্রেস'। বিকেলে সেই অ্যাপ নিয়েই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর সমালোচনা..
একের পর এক আরও বিষয়ে এদিন তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিরোধী দলনেতা। বলেন, '২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রাজ্যের ঋণ ৬ লক্ষ কোটি টাকা।...এবার ডিএ দিতে হলে এই সরকারকে কাউকে তাড়াতে হবে না।' সাধারণের উদ্দেশে তাঁর আহ্বান, 'কালীঘাটে গিয়ে টাকা ফেরত চান।' তবে শুধু শাসকশিবিরকে আক্রমণ করেই তিনি থামেননি। বিজেপি যে একই ভাবে নিরন্তর মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছে, সেই বার্তাও দেন তিনি। শুভেন্দুর দাবি, নরেন্দ্র মোদি গ্রামের মানুষের কথা ভাবেন। নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষের জন্য শৌচালয় বানিয়ে দিয়েছেন।' তাঁর মতে, বিজেপি মানুষের প্রয়োজনে পাশে থাকে। সঙ্গে আহ্বান, 'প্রতিটি গ্রাম থেকে তোলামুলকে উৎখাত করতে হবে।'
আরও পড়ুন:বাংলার মানুষের জন্য তৃণমূলের নতুন অ্যাপ দিদির দূত, ঘোষণা অভিষেকের, কী সুবিধে এতে