কলকাতা: ভাঙড়কাণ্ডে (Bhangar Clash) আরও ৩ আইএসএফ (ISF) কর্মীকে গ্রেফতার করল লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। গত শনিবার তৃণমূল-ISF সংঘর্ষে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে ভাঙড়। হাতিশালা মোড়ে পুলিশের সামনেই ব্যাপক সংঘর্ষ, ইটবৃষ্টি, বোমাবাজি এমনকী গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। সেইসব ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করছে পুলিশ। গতকাল রাতে ভাঙড়ের কাশীপুর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩ আইএসএফ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।                                 

  


ধর্মতলায় খণ্ডযুদ্ধের ঘটনায় গ্রেফতার: গত শনিবার ভাঙড়ে অশান্তির জেরে ISF-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। আহত হন একাধিক পুলিশ কর্তা ও পুলিশ কর্মী। সেই ঘটনায়, ইতিমধ্যেই ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ ধৃত ১৮ জন ISF কর্মীকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। আর এদিন গ্রেফতার করা হয় আরও এক ISF কর্মীকে। জানা গিয়েছে গ্রেফতার হাওড়ার আমতার ওই আইএসএফ কর্মী। 


শনিবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় আইএসএফ। তারই আঁচ এসে পড়ে ধর্মতলায়। তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির দাবিতে ধর্মতলায় ভাঙড়ের বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে শুরু হয় অবরোধ। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে শুরু হয়ে যায় খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনায় বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি-সহ মোট ১৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।                                         

তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, সরকারি কাজে বাধাদান, পুলিশকে মারধর-সহ, একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করে লালবাজার। গতকাল ধৃতদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে,১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি জানান সরকারি আইনজীবী। অন্যদিকে, যে কোনও শর্তে জামিনের আর্জি জানিয়ে, বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ধৃতদের আইনজীবী। তাঁর দাবি, শনিবার পুলিশ ও শাসকদল একসঙ্গে ISF-এর বিরুদ্ধে নেমেছিল। বিধায়কও ছাড় পাননি। তাঁর হাত মুচকে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি ভাঙা হয়েছে। বাইরের লোক ঢোকানো হয়েছিল। এই সবই দল ভাঙানোর চেষ্টা। যেহেতু সামনে পঞ্চায়েত ভোট, তাই এইসব করা হচ্ছে।