কলকাতা: ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস জোট থেকে বাংলার পরিস্থিতি। এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা (CM Manik Saha)।


এক্সক্লুসিভ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা: ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে বিজেপি (BJP)। বিদায়ী সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন মানিক (Manik Saha)। ত্রিপুরার নির্বাচনে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে ১ হাজার ৩২১ ভোটে জিতেছিলেন মানিক সাহা। টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন তিনি। 'ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেসের জন্য কষ্ট হয়। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি বাম-কংগ্রেস। বাংলা থেকেও শিক্ষা নেয়নি বাম-কংগ্রেস। যাদের হাতে আক্রান্ত, তাদের সঙ্গেই অশুভ জোট কংগ্রেসের।' ত্রিপুরার ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ খারিজ মানিক সাহার। এদিন ত্রিপুরার  মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'হাতে আর কিছু নেই, বিরোধীরা অভিযোগ করবেই। সবাইকে বলেছি প্ররোচনায় পা দেবেন না। ভাবতে পারেনি একটা সরকার এত ভালভাবে চলবে। বাংলার মতো পরিস্থিতি ত্রিপুরায় নেই।'


দীর্ঘ ৫ দশকের প্রতিপক্ষ হলেও এবারই প্রথম জোট করে ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে লড়ছে বাম (Left) ও কংগ্রেস (Congress)। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে রাজনৈতিক মঞ্চে একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে নামেন তারা। এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'ত্রিপুরায় বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল-সবার পতাকা দেখা যায়। বাংলায় কিন্তু তৃণমূল ছাড়া কারও পতাকা দেখা যায় না।বাংলায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত, এভাবে এখানে এসব চলবে না।' পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ভাল ফলের আশা মানিক সাহার।


এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বছর সত্তরের মানিক সাহা। দুঁদে এই রাজনীতিবিদ পেশায় একজন ডেন্টাল সার্জেন। লখনউ-এর কিং জর্জ মেডিক্যাল কলেজ (King George Medical College) থেকে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন তিনি। Dental Council of India-এর একজন সদস্য তিনি। ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার পরেও তিনি একবার এক বালকের অস্ত্রোপচার করেছিলেন। 


রাজনীতি জীবনে প্রথমে কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মানিক সাহা (Manik Saha)। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরায় বিজেপির সভাপতি (State BJP President) ছিলেন তিনি। ২০২২ সালে টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জেতেন তিনি। মানিক সাহা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় হিসেবেও নাম ছিল, ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদেও ছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন: Kolkata News: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে এম আর বাঙুর হাসপাতালে উত্তেজনা