কলকাতা : গ্রীষ্মকালে অন্যতম সেরা পানীয় হিসাবে গণ্য হয় আখের রস (Sugarcane Juice)। এটি শরীরে যেমন জল সরবরাহ করে, তেমনি- আয়রন, মিনারেল-সহ অনেক পুষ্টি জোগায়। এর অনেক সুবিধা রয়েছে। আখ খুব মিষ্টি। এতে চিনি, লবণ, লেবু ও বরফ মিশিয়ে জুস তৈরি করা হয়। যেহেতু আখ স্বাদে মিষ্টি, তাই সুগারের রোগীদের (Diabetes Patients) আখের রস পান করা উচিত কি না তা জানা জরুরি। আখের রস কি রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়াতে পারে? এটা কি ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষতি করে নাকি এর কিছু উপকারিতাও (Benefit) আছে?


পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ-


আখের রসে পুরোপুরি চিনি থাকে না। আমরা যদি এর অনুপাত দেখি তবে এতে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ জল রয়েছে। ১৫ শতাংশ পর্যন্ত ফাইবার এবং প্রায় ১৫ শতাংশ চিনি রয়েছে। আখের রস প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় না। তাই এতে ফেনোলিক এবং ফ্লেভয়েড অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ছাড়াও এতে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যে কারণে আখের রস পান করলে ডিহাইড্রেশন হয় না।


প্রায় ২৪০ মিলি আখের রস গ্রহণ করলে এতে চিনির পরিমাণ ৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। ক্যালোরি ১৮৩ এবং ১৩ গ্রাম পর্যন্ত ফাইবার পাওয়া যায়। আখের মধ্যে প্রোটিন ও চর্বি নেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক কাপে ২৪০ মিলিলিটার আখের রস আসে। এতে চিনির পরিমাণ ৫০ গ্রাম অর্থাৎ ১২ চামচের সমান। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন (American Heart Association) বলছে যে, পুরুষদের সর্বোচ্চ ৯ চামচ এবং মহিলাদের ৬ চামচ চিনি খাওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশি চিনি ক্ষতি করে। আখের রসে ১২ চামচ চিনি থাকে।


চিনি শরীরে গ্লুকোজ বাড়াতে কাজ করে। সঠিকভাবে ইনসুলিনের অভাবে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকে না। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের চিনিযুক্ত পানীয় না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিনির কারণে শরীরে সুগারের মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যেতে পারে। তাই সুগারের রোগীদের আখের রস থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভাল।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন ; রান্নাঘরের এই উপকরণ ছানির সমস্যা কাটিয়ে দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়, লিভারের জন্যও উপকারী