সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সরু চালের ভাত আর হালকা মশলা দিয়ে মাংসের ঝোল। পাতিলেবু সহযোগে নিমেষে চালান পেটে। অহস্য গরমে মাটনের ধারেকাছে না গিয়ে মাংসের রসনাতৃপ্তি এ ভাবেই হচ্ছিল। এ বার তাতেও ছেদ পড়তে চলেছে। কারণ খোলা বাজারে যে ভাবে মুরগির মাংসের দাম (Chicken Price Rise) বেড়ে চলেছে, তাতে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়তে বাধ্য।
মুরগির মাংসের দাম ক্রমশই বাড়ছে
গত কয়েক মাস ধরে মূল্য়বৃদ্ধির (Price Hike) প্রভাব ভালই টের পাচ্ছেন মধ্যবিত্ত। চাল, ডাল, তেল, কিছুই বাকি নেই। এ বার মাংসের দামও চড় করতে বাড়তে শুরু করল। ফলমে গরমে হালকা মশলার মুরগির ঝোল খাওয়া আপাতত মাথায় উঠতে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শাক-সবজি এবং পাতিলেবুর (Lemon Price) দামও। তাই গরমে লেবুর রস থেকে বঞ্চিত হওয়ার পথে বাঙালি।
এই মুহূর্তে সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানেই মুরগির মাংস প্রতি কেজিতে ২২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারে দাম ২৩০ থেকে আড়াইশো টাকায় পৌঁছেছে। পাইকারি বাজারে মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে দেড়শো টাকায়। তাই গরমে মাটন ছেড়ে মুরগির মাংসের ঝোলও যে খাবেন, তার উপায় নেই। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গরমে মুরগির জোগান কমায় বেড়েছে আবার দাম বেড়েছএ পাইকারি বাজারের মূল্যও। তাতেই দাম বেড়েই চলেছে।
মূল্যবৃদ্ধিতে হাঁসফাঁস মধ্যবিত্তের
তবে সব মিলিয়ে জিনিসপত্রের আগুন দামের ঠেলায় টান পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেটে। অন্যদিকে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে চড়েছে পাতিলেবুর দামও। এক একটি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬-১৪ টাকায়। ফলে প্রচণ্ড গরমে বাইরে থেকে এসে বা কাজের ফাঁকে পাতিলেবুর শরবতে চমুক দেওয়াও এখন দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে উঠেছে মধ্যবিত্তের কাছে। খুব শীঘ্র এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই মিলবে বলে মনে করছেন না বাজারের একাংশ।