সুনীত হালদার, লিলুয়া: একই পরিবারের ৩ জনের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল লিলুয়ায়। প্রতিবেশীরা ৫ দিন ধরে পরিবারের কাউকে দেখতে পাননি। দুর্গন্ধ পেয়ে ও বাড়ির পাশের নালায় রক্ত দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। লিলুয়া থানার পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ৩ জনের দেহ উদ্ধার করে। একটি ঘর থেকে গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পাশের ঘরে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও কন্যা সন্তানের দেহ উদ্ধার হয়। দু-জনের দেহেই একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর টেকনোসিটি থানার ব্যারাক থেকে উদ্ধার হল পুলিশের এক এসআইয়ের ঝুলন্ত দেহ। মাসদেড়েক আগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে টেকনোসিটি থানায় বদলি হয়ে আসেন ওই এসআই।
এই ঘটনায় জোরাল হয় রহস্য। ডিপ্রেশনের জেরেই কি আত্মহত্যা করেছেন সাব ইন্সপেক্টর? না কি মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য রহস্য? ওঠে একাধিক প্রশ্ন। পুলিশ সূত্রে দাবি, বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। সেই কারণে আত্মঘাতী কি না, তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত সাব ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু মানিক মাস দেড়েক আগে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম বিভাগ থেকে টেকনো সিটি থানায় বদলি হয়ে আসেন।
বৃহস্পতিবার তাঁর মর্নিং ডিউটি ছিল। কিন্তু, তাঁকে ফোন করা হলে ফোন বেজে যায়। সহকর্মীরা তিনতলার ব্যারাকে গিয়ে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। শেষপর্যন্ত দরজা ভেঙে সাব ইন্সপেক্টরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, সহকর্মীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সাব ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু। তবে, ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। ডিপ্রেশনের কারণেই কি পুলিশ অফিসার আত্মঘাতী হয়েছেন, না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে? খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ।