অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সন্দীপ সরকার, কলকাতা : মালগাড়ি (Wagon) বিভ্রাটে চাকা থামল লোকালের (Local Train)। ওভারলোড নিয়ে চলাচলের পথে মাঝপথে থমকে যায় মালগাড়ির চাকা। আর অদ্ভূত এই পরিস্থিতির জেরে দীর্ঘক্ষণ বিঘ্ন ঘটল শিয়ালদা-বজবজ শাখার (Sealdah-Budge Budge Train Line) লোকেল ট্রেন পরিষেবায়। তীব্র যানজট তৈরি হল বজবজ রোডে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা নাগাদ ওভারলোডিংয়ের জন্য সন্তোষপুর-আক্রা স্টেশনের মাঝামাঝি জায়গায় আটকে যায় কয়লাবোঝাই মালগাড়ি। হাইট বারে ওভারলোডেড একটি বগি ধাক্কা লেগে আটকে যাওয়ায় থমকে যায় ট্রেনটি। দীর্ঘক্ষণ ধরে মালগাড়ি নড়াচড়া না করার জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে পড়ে লোকাল পরিষেবাই। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা ধরে চেষ্টার পর বাড়তি ওজন সরিয়ে মালগাড়িটিকে সরানোর পর স্বাভাবিক হয় লোকাল ট্রেন পরিষেবা। গোটা ঘটনা নিয়ে বেশ বিরক্ত রেলকর্তারাও। জানা যাচ্ছে, ওভারলোডিং নিয়ে বাণিজ্যিক শাখার কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রেল। কেন মালগাড়িতে ওভারলোডিং তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
দীর্ঘ প্রায় ঘণ্টা চারেক মতো সময় লোকালের চাকা থমকে থাকায় প্রবল সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। শহরতলিতে বাড়ি ফেরার মুখে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ পেয়ে অনেকেই সড়কপথে বাড়ির পথ ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে সমস্যা আরও বাড়ে। একদিকে দীর্ঘক্ষণ লোকাল ট্রেন বন্ধ অপরদিকে, রাস্তায় বাড়তি ভিড়, দুইয়ে মিলে বজবজ রোডে তৈরি হয় ব্যাপক যানজট। এভাবে ওভারলোডিংয়ের জেরে মালগাড়ির চাকা থমকে যাওয়ায় অবাক সকলেই।
সোমবারই বড়সড় ট্রেন দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। শিয়ালদা-ক্যানিং শাখার বিদ্যাধরপুর স্টেশনের কাছে রেললাইনে ফাটল দেখা যায়। কিন্তু এক কলেজ পড়ুয়ার তৎরতায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা মেলে। একঘণ্টা ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। মেরামতির পর, স্বাভাবিক হয় ট্রেন পরিষেবা।
আরও পড়ুন- লাইনে ফাটল, কলেজ পড়ুয়ার উপস্থিত বুদ্ধিতে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচল ট্রেন