সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা (Loksabha) কেন্দ্রের মিনাখাঁ বিধানসভায় আইএসএফে (ISF) বড়সড় ভাঙন। এরাজ্যে আইএসএফ খুনের উন্নয়ন করেছে, ভাঙড় দেখে আমরা আতঙ্কিত। পাশাপাশি আইএসএফ দল মিথ্যা, ভাঁওতা ছাড়া কিছু জানে না, এমনই অভিযোগ তুলে হাড়োয়ার বকজুড়ি অঞ্চলে হাজি শেখ নুরুল ইসলামের নির্বাচনী কর্মী সভায় শতাধিক আইএসএফ কর্মী তৃণমূলের পতাকা তুলে নিলেন।                                                               

  


আইএসএফ কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা ও ব্লক সভাপতি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।  


আইএসএফ কর্মী শরিফুল সর্দার জানান, এ রাজ্যে উন্নয়ন পেতে গেলে তৃণমূল করতে হবে আইএসএফ ছোট দল কিছু করতে পারে না। আমাকে ভুল বুঝিয়ে দলে নিয়ে গেছিল। হাজি নুরুল ইসলাম ২০০৯ সালে আয়লা বিধ্বস্ত সুন্দরবনের মানুষের পাশে ছিল তার কাছে যখনই ছুটে গেছি সাহায্য পেয়েছিলাম তাই হাজি নুরুল ইসলাম ও তৃণমূলকে ভালোবেসে তৃণমূলে যোগদান করেছি। 


রফিজুল মল্লিক জানান আইএসএফ-এ রাজ্যে খুনের উন্নয়ন করেছে তা ভাঙড় দেখে শিখেছি তাই উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছি।


আরও পড়ুন, চা বানিয়ে খাইয়েছিলেন বিল গেটসকে, আজ বুর্জ খলিফায় বসে কফি খাচ্ছেন ডলি চায়েওয়ালা


শতাধিক আইএসএফ কর্মী তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা বলেন, আইএসএফ মানুষকে ভুল বুঝিয়েছে, ভাঁওতার দল তাই বকজুড়ি অঞ্চলের কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করবে বলে আমাদের কাছে আবেদন করেছিল আমাদের জেলা নেতৃত্বের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে তৃণমূলে যোগদান করিয়েছি, তারা মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে সামিল হতে চায়।


এ বিষয় নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা আইএসএফের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন। তার দাবি আইএসএফের কোন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেনি এটা মিথ্যা কথা। যারা একবার খাম চিহ্নে ভোট দিয়েছে তাদের অন্য জায়গায় ভোট দেওয়ার কথা মাথায় আসবে না এটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বকজুড়ি অঞ্চলে আমাদের কোন কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেনি।



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
https://whatsapp.com/channel/0029VaCBCh6545uwkeNBg11y