রুমা পাল, কলকাতা: কারও মাথা ফাটল। কেউ আঘাত পেলেন চোখে। কেউ আবার অল্পের জন্য বেঁচে গিয়ে আতঙ্কে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন। তৃণমূল (TMC)-বিজেপির (BJP) সংঘর্ষ, রাজনৈতিক দলের ক্যাম্প অফিসে ভাঙচুরের ছবিও সামনে এল। সবমিলিয়ে বাংলায় (West Bengal) ভোট (Lok Sabha Election) হিংসার ট্র্যাডিশন অব্যাহত রইল চব্বিশের লোকসভা ভোটের প্রথম দফায়। সেই সঙ্গে অনেক জায়গায়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উঠল ঘটনাস্থলে না থাকার অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষের করের, এত টাকা এত খরচ করে, এত কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও, নির্বাচন কমিশন হিংসা-মুক্ত ভোট করাতে পারল না কেন? কোথায় গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী?                                   


বাংলার জন্যই সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই প্রেক্ষিতে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, তারপরও প্রথম দফায় হিংসা এড়ানো গেল না কেন? সেই প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলা হয়েছে, তৃতীয় দফার ভোটে অতিরিক্ত আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে তৃতীয় দফার ভোটে।  ৪০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তৃতীয় দফার ভোট করাতে চাইছে কমিশন। 


কমিশনের তরফে বলা হয়েছে,  প্রথম দফার ভোটে ছিল ২৭৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। দ্বিতীয় দফার ভোটে থাকবে ২৯৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় দফার ভোটে থাকবে ৪০২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৭ মে তৃতীয় দফায় বাংলার ৪ কেন্দ্রে ভোট। ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদা উত্তর ও দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রে। 


আরও পড়ুন, আহত তৃণমূল কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে দিলীপ ঘোষ, কথা পরিবারের সঙ্গেও


প্রসঙ্গত, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার এর আগে বলেছিলেন, যেখানেই হিংসা রয়েছে, সেটা ভোটের আগে হোক, ভোটের সময় হোক বা ভোটের পর, আমরা সেই পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করতে সর্বদা সতর্ক থাকব। সন্ত্রাস রুখতে আমাদের যা যা করতে হবে, আমরা কঠোরভাবে সেগুলো করব।


ভোটের অনেক আগেই এরাজ্যে চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ করছে তারা। এখনও বাকি ছ'দফা। বাংলার ভোটের ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী। 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে