কলকাতা: প্রসূন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। প্রয়োজনে নির্দল হয়েও দাঁড়াবেন বলেও দিয়েছিলেন। কিন্তু মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে কার্যত পিছু হঠেছিলেন। এবার বাবুনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

  


বাবুনের এই পদক্ষেপের পিছনে কি বিজেপির হাত রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, 'টোটালটাই আছে। তারা সবসময়ই ২৩ কোটি, ২৫ কোটি, ৩০ কোটি...ঘর ভাঙানোর খেলা প্রতি ইলেকশনেই করে। এর আগেও আমি অনেক দেখেছি, অনেক বার, বারবার। কিন্তু আমি তাও বলি ওরাই তো পরিবারতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু আমি পরিবারতন্ত্র করি না, এটা জলজ্যান্ত উদাহরণ দিয়ে দিলাম। আমি মানুষের পরিবার করি এবং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের প্রার্থী, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেতানোর দায়িত্ব আরও বেশি আমাদের বেড়ে গেল। তৃণমূল কংগ্রেসের সকলকে বলব যাঁরা আমাকে একটুও ভালবাসেন, মা-মাটি-মানুষ যাঁরা আমাকে একটুও ভরসা করেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আপনাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল, দায়বদ্ধতা বেড়ে গেল যেহেতু প্রসূন আমাদের প্রার্থী আর তাকে চ্যালেঞ্জ করেছে কিছু লোভী লোক, আমি এটাকে সাপোর্ট করব না। সে তো স্বীকার করেছে বিজেপির সঙ্গে তার রিলেশন আছে, স্বীকার করেছে, তা নতুন করে বলার কী আছে?'


এবার সেই নিয়েই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Babun Banerjee) বলেন, 'ভাইয়ের সঙ্গে চুক্তি ছিল ২০২১ সালে, যে তোকে আমি MP করব। এবং ভাইকে MP টিকিট দেয়নি, অর্থাৎ ভাগ বাটোয়ারায় একটু কম পড়েছে তাই এসব কথা বলছে। আর বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটা কথা আপনাদের মাধ্যমে আমি বলে গেলাম। আপনি পিসি, মানে আপনার দিদির সঙ্গে, মানে আমাদের সবার ঠগী পিসি, এখন দিদি নেই কিন্তু পিসি। দিদি যখন ছিল আমি ছিলাম সঙ্গে পার্থদাও ছিল। এখন পিসি। তা এই ঠগী পিসির সম্পর্কে আপনি যা পারেন বলুন। বিজেপির কথা তুলবেন না। বিজেপির সঙ্গে আপনি গত দু'দিন কী করেছেন আমি কিন্তু ফাঁস করে দেব। আমি আপনাকে সতর্ক করছি। যে আমি বিজেপিতে যাব না। বিজেপি আপনাকে নেবে না। বিজেপি তার কর্মীদের সেন্টিমেন্ট বোঝে। বিজেপি ওই পরিবারকে চোর বলেছে। বিজেপি ওই চোরেদের কাউকেই নেবে না।'


বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর না হুমকি অধিকারী হয়ে গিয়েছে। সভা-সমিতি ছাড়াও X হ্যান্ডেলে তিনি তাঁর বক্তব্য প্রধানত ভয় দেখানো, হুমকি দেওয়া। এত কথা না হলে যা করার করলেই পারেন। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায় তো বিজেপির হয়ে দাঁড়াবেন সে কথা বলেননি। নির্দল হয়ে দাঁড়াতে পারে। পরে বলেছেন সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসবেন।'


আরও পড়ুন:  'ভোটের ১৫ দিন আগে ভোট হয়ে যাবে', সায়নীকে পাশে নিয়ে বিস্ফোরক TMC বিধায়ক