কলকাতা: লোকসভার ভোটের (Lok Sabha Election) দামামা বেজে উঠেছে বঙ্গে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ থেকে রাজ্যে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) পর পর সফর এবং পদ্ম শিবিরে যোগদানের হিড়িক। এরই মধ্যেই এদিন ব্রিগেডে জনগর্জন সভা থেকে প্রার্থী তালিকায় চমক দিল তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়  (Abhishek Banerjee) ৪২টি লোকসভা আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। একাধিক নতুন নাম যেমন রয়েছে, তেমন একাধিক নাম বাদও পড়ল। 


যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র (Jadavpur Lok Sabha Election) থেকে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty) এবং বসিরহাট (Basirhat) থেকে নুসরত জাহানের (Nusrat Jahan) নাম বাদ গেল তৃণমূলের লোকসভা প্রার্থী তালিকা থেকে। যাদবপুরে মিমি চক্রবর্তীর বদলে প্রার্থী হলেন সায়নী ঘোষ। এর আগে একুশের বিধানসভা ভোটে আসানসোল দক্ষিণ আসনে জোড়াফুলের প্রার্থী হয়েছিলেন সায়নী। বিজেপির অগ্নিমিত্রা পালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তৃণমূলের যুবনেত্রী পদে রয়েছেন সায়নী ঘোষ।


এর আগে অবশ্য মিমি নিজেই ভোটে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীরকাছে গিয়ে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফাও দিতে গিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। ব্যস্ততার কারণে আর প্রার্থী হতে চান না, থাকতে চান না রাজনীতিতেও, জানিয়েছিলেন এমনটাই। অভিনেত্রীর সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই হয়তো মিমির বদলে যাদবপুর কেন্দ্রে দাঁড় করানো হল সায়নী ঘোষকে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 


অন্যদিকে, সন্দেশখালিকাণ্ডের পর চর্চায় এসেছিল বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহানের নাম। নিজের সংসদীয় এলাকায় এমন ঘটনার পরও কেন 'অনুপস্থিত' অভিনেত্রী, তা নিয়ে জোর চর্চা উঠেছিল সব মহলেই। সম্প্রতি নুসরত জাহানকে নিয়ে একটি কর্মসূচীতে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, এক জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁর সেখানে যাওয়া দরকার ছিল।  এহেন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই নুসরত জাহানের, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল। তবে কি নুসরতের 'অ্যাবসেন্ট'ই প্রার্থী তালিকায় তাঁকে 'অ্যাবসেন্ট' করল? সেই প্রশ্ন উঠছেই।  


আরও পড়ুন, এবারের ভোটে তৃণমূলের ২৬ জন নতুন প্রার্থী 


এছাড়াও ব্যারাকপুরের 'হেভিওয়েট' প্রার্থী অর্জুন সিংহের নামও নেই তৃণমূলের প্রকাশিত লোকসভা ভোটের প্রার্থী তালিকায়। সম্প্রতি ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের আগে ফের প্রকাশ্যে এসেছিল বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। অর্জুন সিং-কে টিকিট না দেওয়ার দাবিতে জগদ্দল ও বীজপুরের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ও সুবোধ অধিকারীর নেতৃত্বে চলেছিল সই সংগ্রহ অভিযান। দলের তরফে সই সংগ্রহ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে, জানিয়েছেন সোমনাথ শ্যাম। যদিও সেই সময় এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি অর্জুন সিং।  এছাড়াও বাদ পড়লেন সুনীল মণ্ডল, চৌধুরী মোহন জাটুয়া, অপরূপা পোদ্দার।