কলকাতা: তৃণমূলের (TMC Jonogorjon Sabha) ব্রিগেডের পাল্টা সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সভা করল বিজেপি। পিছিয়ে ছিল না বামেরাও। ব্রিগেডে তৃণমূলের সমাবেশের পাল্টা পথে নামল তারাও। রাজ্য়ের ৭ প্রান্তে সভা করল সিপিএম (CPM Meeting)। একযোগে তৃণমূল-বিজেপি-র বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সেলিম, বিমান, সুজন, মীনাক্ষীরা।
সুর চড়াল সিপিএম: রাজ্য়ের ৭ প্রান্তে সভা করে ঝড় তুলল সিপিএমও। একের পর এক সভা থেকে একযোগে তৃণমূল-বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিলেন মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায় থেকে বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীরা। এদিন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাগানে যদি ঘাস জমে যায়। আপনি বেড়া দিয়ে আটকে রাখতে পারবেন না। গরু লাফিয়ে আপনার বাগানে ঘাসের সন্ধানে আসবে।যদি গরুকে ঠেকাতে হয়, তাহলে বাগানের ঘাস নিড়িয়ে দিতে হবে। পশ্চিম বাংলায় তৃণমূল যতক্ষণ থাকবে, ততক্ষণ ঘাসের লোভে গরু বিজেপি আসবে।’’
সোমবার সন্দেশখালিতে সভা করবে সিপিএম। তার আগে রবিবার ৭ জেলা থেকে সুর চড়াল সিপিএম। বীরভূমের রামপুরহাটে সুজন চক্রবর্তীর পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় সভা করেন মহম্মদ সেলিম। দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “এই যে সব দেখছেন, কালো কালো স্করপিও গাড়ি নিয়ে ঘোরে আর রাতে মা-বোনেদের পার্টি অফিসে ডেকে নিয়ে গিয়ে ইজ্জত লোটার চেষ্টা করে, আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে তো ১২ বছরে! আখের মেশিন দেখেছেন, আখ মাড়াইয়ের মেশিন? মোটা মোটা সব রডের মতন থাকে না আখ, সেগুলোকে মেশিনের মধ্য়ে ঢুকিয়ে দেয়। আর দুটো চাকা থাকে। তার মাঝখানে ঢুকিয়ে দিলে শুধু চাকাটা ঘোরাতে হয়, সব রস বেরিয়ে আসে। আমরাও চাকাটা ঘোরাতে চাইছি। এই যত তৃণমূলের চোর আছে, তাদের সব রস নিংড়ে বার করে দিতে হবে। গোটা বাংলার মানুষকে শুষে নিয়েছে ওরা।’’
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের পোস্ট অফিস মোড়ে এদিন পথসভা মীনাক্ষী মুখোপাধ্য়ায়। দলবদল নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেন তিনি। এদিন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বলেন, “আরে হাটে এত কম টাকাতে কোনও একটা বুড়ো হয়ে যাওয়া পাঁঠা বিক্রি হয় না। যত তৃণমূল আর বিজেপির বিধায়করা আজকে দলাদলি করছে। কীসের জন্য করছে?’’
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।