সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা :  গোটা দেশের মধ্যে বাংলায় সবচেয়ে ভালো ফল করবে বিজেপি', এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বাংলায় এসে রোড শো থেকে ব়্যালি, সব জায়গায় মোদির প্রত্যয়ী সুর। বাংলায় ভাল ফল করবে বিজেপি, বেশ প্রত্যয়ের সঙ্গেই দাবি করছেন বিজেপি নেতারা। আর প্রধানমন্ত্রীর এই দাবিকে নানাভাবে নস্যাৎ করে যাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এবার বিরোধী প্রার্থীকে ঝাঁটাপেটা করার দাওয়াই তৃণমূল প্রার্থীর। বললেন,  'মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকুন'


'অসমে তাড়া খেয়ে বাংলায় এসেছে'


মঙ্গলবার মোদির গলায় যখন বাংলায় ভাল ফল করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সুর, তখনই বেহালার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিলেন 'এবার আর কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসছে না বিজেপি। নরেন্দ্র মোদিকে হয়তো আর ৭-৮ দিন বলতে পারব প্রধানমন্ত্রী'। আর এদিন তাঁর দলের বিদায়ী সাংসদ তথা বারাসাতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার বললেন, ' অসমে তাড়া খেয়ে বাংলায় এসেছে। অবস্থা ভাল নয় বুঝে বারবার বাংলায় আসছে।' এখানেই থামেননি তিনি। বারাসাতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে ঝাঁটাপেটার দাওয়াই দিলেন কাকলি। বলেন, 'এখানকার মহিলাদের বলছি, মুড়ো ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন।' 


বারাসাতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের সমর্থনে অশোকনগরের হরিপুরে সভা করেন নরেন্দ্র মোদি। আর এদিনই বিধাননগর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে সভা করে প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন বারাসাতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার।


বিজেপির পাল্টা 


কাকলির মন্তব্যের জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। যাঁরা চুরি করেছে, তাঁরাই ঝাঁটার বাড়ি খাবে, পাল্টা মন্তব্য বারাসাতের বিজেপি প্রার্থী  স্বপন মজুমদারে। বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেন, ' ওঁকে তো প্রচারে দেখা যাচ্ছে না, নিজের পরিণতি বুঝেই এ ধরনের কথা বলছেন' । ১ জুন বারাসাত কেন্দ্রে লোকসভা ভোট। আর ৪ জুনই পরিষ্কার হয়ে যাবে, বারাসাতের মানুষ কাকে চায়।  


আরও পড়ুন, 'সাধারণের টাকা তো রাজকোষ ভরানোর জন্য নয়', বাংলায় 'দুর্নীতি' নিয়ে এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ মোদি   


'না খাব, না খেতে দেব'


এদিন বারাসাতের সভা থেকে মোদি বলেন, '১০ বছর আগে আমি গ্যারান্টি দিয়েছিলাম না খাব, না খেতে দেব। কেন্দ্রীয় স্তরে ১০ বছরে কোনও দুর্মীতি হয়নি। মোদি দেশ ও পশ্চিমবঙ্গে নতুন গ্যারান্টি দিচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে তার থেকে আদায় করা হবে আর যে দুর্নীতির শিকার তাকে ফের দেওয়া হবে। তৃণমূলের নেতাদের কাছ থেকে যে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয়েছে তার হিসেব হবে, কীভাবে তা প্রতারিতদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই জন্য আইনি পথ তৈরি করছি আমি। এখনও পর্যন্ত মানুষের থেকে লুঠ করা ১৭ হাজার কোটি টাকা আমি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছি। বাংলার মানুষও যাতে লুঠ হওয়া টাকা ফিরে পাই তার পূর্ণ চেষ্টা করছি। দুর্নীতি বাজদের কালো টাকার এক্সরে বের করব আমি। এমন এক্সরে যে এদের পরবর্তী প্রজন্ম দুর্নীতি করার আগে ভাববে। '


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে