চঞ্চল মজুমদার, দক্ষিণ দিনাজপুর: দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃ্ত্যুর (Road Accident) সাক্ষী থাকল দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur)। একই ঘটনায় জখম তিন জন। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর তেমাথা মোড়ে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম গোসাই দাস মন্ডল বলে জানিয়েছে পুলিশ।


কী ঘটেছিল?
সূত্রের খবর,অসুস্থ মেয়েকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন কুশমন্ডি থানা লোহাগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা গোসাই দাস মণ্ডল। সঙ্গে ছিলেন ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি। হঠাতই বুনিয়াদপুর তেমাথা মোড়ে দাঁড়ানো একটি বাইককে পিছন থেকে দশ চাকার একটি লরি ধাক্কা মারে যার অভিঘাত এসে পড়ে গোসাই দাস মন্ডলের উপর। মারা যান তিনি। বাকিদের জখম অবস্থায় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে গঙ্গারামপুরে রেফার করা হয় তাঁদের। জখম বাইকচলক বঙ্কিম মন্ডলও। প্রসঙ্গত, এই রাজ্য়ে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু নতুন কোনও ঘটনা নয়। দিনপাঁচেক আগেই বাড়ি থেকে বাইকে করে জাতীয় সড়ক দিয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ছাত্রের। গত বৃহস্পতিবারের ওই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জ থানার নতুন ডাকবাংলা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ।


গত সপ্তাহের ঘটনা...
পুলিশ জানিয়েছিল, বছর একুশের ওই মৃত  ছাত্রের নাম মোহাম্মদ কাইফ। তাঁর বাড়ি ফরাক্কা থানার খোদাবন্দপুর এলাকায়। দুর্ঘটনা ঘিরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সামসেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। যদিও পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে পুলিশ। এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ২০২২ সাল। পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিল অপর এক ছাত্র। মহেশতলা ডাকঘরের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। মৃত ছাত্রের নাম সায়েদ হালদার। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর এহেন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। মহেশতলা থানার পুলিশ লরিটিকে আটক করেছিল। এর পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাইকটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, মহেশতলা হাই স্কুলের দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার শেষে বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ ডাকঘরের কাছে একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁদের বাইকের। দুই জনেই ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশের নর্দমায় পড়ে। দুই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজন সায়েদ হালদার। সে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। অপর আর এক ছাত্র সৈয়দ ইরফান আলির ডান পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। দুই জনকেই মহেশতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সায়েদকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।  


আরও পড়ুন:গরমের মরসুমে পাতে এই পাঁচ ফল থাকলে দূর হবে ত্বকের রুক্ষ-শুষ্ক ভাব, বাড়বে জেল্লা