কলকাতা: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) লটারি-রহস্য আরও ঘনীভূত (Lottery Scam)। বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল (TMC) সভাপতিকে লটারির টিকিটই বিক্রি করেননি বলে এ বার দাবি করলেন বোলপুরের লটারি বিক্রেতা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) জিজ্ঞাসাবাদে লটারি টিকিট বিক্রেতার এমন 'স্বীকারোক্তি' পাওয়া গিয়ছে বলে গোয়েন্রদা সূত্রে জানা গিয়েছে। তাহলে লটারি আসলে কিনেছিলেন কে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
সিবিআই-এর কাছে অনুব্রতকে টিকিট বিক্রির কথা অস্বীকার বিক্রেতার
অনুব্রতর লটারি জেতা নিয়ে কয়েক দিন আগেই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। সেই মতো তদন্তে নেমে শুক্রবার ওই লটারি বিক্রেতার দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এর পর লটারি বিক্রির নথি নিয়ে বোলপুরে সিবিআই-এর অস্থায়ী শিবিরে যান লটারির টিকিট বিক্রেতা এবং তাঁর দোকানের কর্মীরা। সেখানেই লটারি বিক্রেতা অনুব্রতকে টিকিট বিক্রির করেননি বলে জানান, এমনই জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে।
লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি ভাগ্যবদলের কাহিনিতে এ যাবৎ খেটে খাওয়া, দুঃস্থ মানুষেরই আধিপত্য ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে লটারি টিকিট বিজয়ে নাম জুড়ে যাচ্ছে হেভিওয়েটদের। কোটি কোটি টাকা জেতার খবর সামনে আসছে। তাতেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কালো টাকা সাদা করতে লটারির রাস্তা বেছে নিচ্ছেন হেভিওয়েটরা! টাকার বিনিময়ে আসল লটারি জয়ীর কাছ থেকে টিকিট নিয়ে আয়োজকদের কাছ থেকে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হচ্ছে!
সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে লটারি রহস্যে নাম উঠে এসেছে অনুব্রতরও। অনুব্রতর নামে ১ কোটির লটারি রহস্যের শিকড় কত গভীরে, তা খুঁজতে গিয়ে একের পর এক নতুন নাম হাতে আসছে সিবিআই-এর। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত গাঙ্গুলি লটারি, রাহুল লটারি, লাকি লটারি এবং বোলপুরের নাহিনা গ্রামের এক লটারি বিক্রেতার তথ্য হাতে এসেছে।
এর আগে, বুধবার বোলপুরের বাপি লটারির মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে জানা যায় বোলপুরের লটারি ডিস্ট্রিবিউটর রাহুল লটারি নামে একটি সংস্থার নাম। সেই মতোই ওই দোকানে হানা দেন গোয়েন্দারা। পরে দোকানের মালিক নথি নিয়ে সিবিআই-এর শিবিরে যান এবং সেখানে অনুব্রতকে লটারির টিকিটই বিক্রি করেননি বলে জানান।
লটারি রহস্য আরও ঘনীভূত হচ্ছে
এ বছরের শুরুতেই, অনুব্রতর নামে, একটি লটারির টিকিটে এক কোটি টাকা পুরস্কারের ছবি ভাইরাল হয়েছিল। কিন্তু, তার সঙ্গে গরু পাচার মামলার যোগ নেই তো? গরু পাচারের কালো টাকা কি কোনওভাবে লটারিতে সাদা হয়েছে? তা এবার খতিয়ে দেখছে সিবিআই।