কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ পরিণত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপে, তার জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির (Rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে বুধবারও। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই অঝোরধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে (Weather Forecast)। জায়গায় জায়গায় বজ্রপাতের ঘটনাও সামনে এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুরেই বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। সেই নিয়ে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। বজ্রপাতের প্রকোপ এড়াতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা।  (WB Weather Updates)

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অতি গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। উপকূল এলাকায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। নবান্নের তরফে বুধবার পর্যন্ত আপাতত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।গভীর নিম্নচাপ ও ভরা কটালের জোড়া ফলায় সমুদ্র ও নদীর জলস্তর বাড়ছে। বেহাল বাঁধ উপচে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


কলকাতা-সহ ১৪টি জেলায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উপকূল এলাকায় বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। তার জন্য দিঘাতেও সতর্ক করা হয়েছে পর্যটকদের। অন্য দিকে, গভীর নিম্নচাপ এবং ভরা কটালের জোড়া ফলায় সমুদ্র ও নদীর জলস্তর বাড়ছে। বেহাল বাঁধ উপচে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। তবে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। 


আরও পড়ুন: East Midnapore News: হলদিয়ায় বাজ পড়ে ৩ জনের মৃত্যু

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে। তাই নিরাপদে আশ্রয়ে থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সকলকে। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হুগলি, হাওড়া, কলকাতাতেও। দুপুরের পর দু’-তিন ঘণ্টা বৃষ্টি হতে পারে। বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সকলকে। আবহাওয়া দফতরের তরফে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এই তিন জেলায়।  


পূর্বাভাস যদিও আগে থেকেই ছিল। সেই মতো উত্তর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপ, যার প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুরেই কালো হয়ে আকাশ। কলকাতা এবং আশেপাশের জেলায় অঝোরধারায় বৃষ্টি নামে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বজ্রপাত। তার পর থেকে রাত যত এগিয়েছে, ততই দাপট বেড়েছে বৃষ্টির। যে কারণে তাপামাত্রাও একধাক্কায় নেমে যায় অনেকটাই।


ভারী বৃষ্টি ও জলের তোড়ে পুরুলিয়ার আড়ষা ব্লকের বেলডিতে বসে গিয়েছে কংসাবতী নদীর ওপরের সেতু। আতঙ্কে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ, শহর থেকে বিচ্ছিন্ন বহু গ্রাম। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ব্রিজের পিলারের পাশ থেকে বালি তোলার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।