কলকাতা: কড়া ভাষায় সতীর্থের সমালোচনা করায় তারকা সাংসদ দেবকে একহাত নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই উল্টো সুর কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের গলায়। রেস্তরাঁ মালিককে মারধরের ঘটনায় সোহমের নিন্দা করলেন তিনি। ক্ষমতা হাতে পেয়ে সোহমের মাথা ঘুরে গিয়েছে বলেই কার্যত দাবি করলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতি করলেও, কখনও তাঁদের এসব করতে হয়নি বলেও জানালেন। (Madan Mitra)
রেস্তরাঁ মালিককে মারধরের ঘটনায় গত কয়েক দিন ধরেই খবরের শিরোনামে তৃণমূলের বিধায়ক সোহম। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। বিজেপি-র শঙ্কুদেব পণ্ডার দাবি, বিজেপি-র কর্মীদের মারধর করতে লোক ভাড়া করেছিলেন সোহম। এমনকি নিজের ব্যক্তিগত সচিবকে দিয়েও সোহম অপরাধমূলক কাজ করান বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে সোহমের কথোপকথনের একটি অডিও-ও প্রকাশ করেন শঙ্কুদেব, যার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।(Soham Chakraborty)
সেই অডিও নিয়েই এদিন সোহমের প্রসঙ্গে সুর পাল্টে যায় মদনের। তাঁর বক্তব্য, "অডিওটার সত্যতা যদিও যাচাই করা যায়নি, কিন্তু শুনে মনে হচ্ছে সোহমেরই গলা। সত্যি যদি তাই হয়, তাহলে খুব দুঃখের। আমি ভাবছি অভিষেকের মতো বাচ্চা ছেলে, বিপুল ভোটে জেতার পর নম্র হতে, বিনয়ী হতে বলছে। আর আমাদের...একটু ক্ষমতা পেলেই মাথাটা খারাপ হয়ে যায়। রাজনীতিতে হাতে যখন ক্ষমতা আসে, যখন বোঝা যায় মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছে, কথা শুনছে, তখনই মারো, ধরো নীতি চলে আসে। ও যেটা করেছে, অন্যায় করেছে।"
আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'দাদাগিরি' করছেন দেব, রাজনীতিতে বাড়াবাড়ি করছেন? হঠাৎ নায়কের উপর খাপ্পা মদন
মদন আরও বলেন, "সোহম ক্ষমা চেয়েছে। আমি বলছি, শুধরে যাও। ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়। আমরাও জীবনে অনেক ভুল করেছি। ভুল শুধরে নেওয়াই আসল মহত্ব। কিন্তু ভুলের পর ভুল করলে মানুষ ক্ষমা করে না। খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আমি তীব্র নিন্দা করছি। ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সোনার বাংলা গড়তে চাইছেন, সেখানে এসব বেরোতে শুরু করলে...মানুষ যদি দেখেন তৃণমূল এসব করছে! আমরা কিন্তু কখনও এসব করিনি!"
সোহমের সমালোচনা করার আগেই যদিও দেবকে একহাত নিয়েছিলেন মদন। প্রকাশ্যে সোহমের সমালোচনা করে দেব 'দাদাগিরি' করছেন, সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে একটু বেশি জড়িয়ে পড়ছেন বলেও মন্তব্য করেন মদন। কিন্তু সোহমের কথোপকথন অডিও বলে যে ক্লিপ সামনে এসেছে, সেই নিয়ে একেবারে উল্টো সুর ধরা পড়ে মদনের গলায়।