ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: কালীঘাটে যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে, তখন বিয়ের পিঁড়িতে মদন মিত্র। এদিন একটি সংস্থার উদ্যোগে দাম্পত্যদের নিয়ে অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা। সেখানেই বর বেশে দেখা গেল মদন মিত্রকে। বিয়ে সেরে সরস মন্তব্যও করেন শাসক দলের বিধায়ক।
বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ ভবানীপুরের শাঁখারিপাড়ার তৃণমূল নেতার বাসভবন থেকে বরযাত্রী নিয়ে কালীঘাটে যান কামারহাটির বিধায়ক। কাকে ফের বিয়ে করছেন কামারহাটির তৃণমূল নেতা? সেই নিয়েই প্রথমে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। মদন মিত্র জানিয়েছেন, ‘আসলে আমি মানসিক ভাবে খুব বিভ্রান্ত। সামনেই ভ্যালেন্টাইন্স ডে। সবাই বলছে ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান পোস্ট’। তাই আমিও ভেবেছিলাম ‘ওয়ান ম্যান ওয়ান ওয়াইফ’। কিন্তু এখন ভাবছি দুটো হাত দুটো পায়ের মতো দুটো বউ ছাড়া চলবে না। তাই আবার বিয়ে করছি।’
বঙ্গ রাজনীতিতে তিনি বরাবরই বর্ণিল চরিত্র। ফেসবুক লাইভ থেকে নানা ভিডিও হোক বা ওহ লাভলি গান, দিদির কথায় 'মদন রঙিন' ছেলে। এবার সেই রঙিন ছেলেই বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। সঙ্গে ছিল নিতবরও। কিন্তু প্রশ্ন হল পাত্রীটি কে? এই প্রশ্ন নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্যও ছড়ায়। ৪২ বছর পর, স্ত্রী অর্চনা মিত্রকেই ফের বিয়ে করলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। দাদুর-ঠাকুমার বিয়েতে নিতবর ছিল নাতি। সানাইয়ের সুরে বিয়ের মণ্ডপ ছিল একদম জমজমাট। কিন্তু হঠাৎ এমনভাবে বিয়ে কেন? উত্তরে মদন জানান, "আমি এখন বেকার। প্রচার করে আসলাম। দেখলাম হাতে অনেক সময়ে রয়েছে তাই বিয়ে করে নিলাম আবার।"
কামারহাটির বিধায়কের সরস মন্তব্য, "ভালবাসা বিষয়টা খুব কঠিন। এখানে অনেককে দেখেই আজ ভাল লাগছে। মনের কথা মনেই রেখে দিচ্ছি তাই। আমি যখন বিয়ে করি তখন আমার বয়স ১৮। আমি এসব বিয়ের ঝামেলা ফেলে রাখিনা।" এরপর মদন মিত্রের সহাস্য মন্তব্য, "মেয়েদের তো বোঝাতেই পারছি না যে আমি বিয়ে করে ফেলেছি। মেয়েদের ভাললাগার সেই চাপমুক্ত হতেই তাই এদিন আবার বিয়ে করলাম। বহু বিবাহ একদিকে খারাপ নয়। বৌদ্ধধর্মে এক সময় এমনটা হত।"
কিন্তু মদন মিত্র মানেই নানা জল্পনা, নানা মন্তব্য, নানা বিতর্ক। সাংবাদিকদের এসব প্রশ্নের জবাবে এদিন মজা করতে ছাড়েননি তিনি। তৃণমূল নেতার কথায়, "কিছুক্ষণের জন্য ভাললাগলে আমার কোনও আপত্তি নেই। সেটা কফি, ফিশফ্রাই অবধি ঠিক আছে। কিন্তু পরকীয়া ঠিক নয়। বিষয়টা হল রাজ্যে যাই-ই হোক প্রথম কেসটা আমিই খেয়ে যাই। তাই এবার একটু সাবধান হয়ে গেছি। ঘরের লক্ষ্মীকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।"