কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়, মুখ খুললেন মদন। “শ্বেতা সুন্দরী, রহস্যময়ী, লাস্যময়ী। চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। খোঁজ নিয়ে জানলাম, ও কামারহাটি পুরসভায় কাজ করত। আবার ওদিকে অর্পিতা থাকত। যত সুন্দরী, লাস্যময়ী তাঁদের যদি বেলঘড়িয়া ভাল লাগে। বাগান তো অনেক ....বৃন্দাবন একটাই! তাই বলে কৃষ্ণের কি দোষ। ম্যায় ক্যা করু..।’’
মুখ খুললেন মদন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে যুব তৃণমূল নেতা সহ তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার। সামনে এসেছে একাধিক নতুন নাম। আর প্রায় প্রত্য়েকটি নামের সঙ্গেই জড়িয়ে গেছেন কোনও না কোনও মহিলা। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়, সোমা চক্রবর্তী, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্য়ায়র পর এবার এসেছে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম। ইডি সূত্রে দাবি, প্রায় প্রত্য়েকটি ক্ষেত্রেই এদের মধ্য়ে আর্থিক লেনদেনের তথ্য়ও মিলেছে। নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথম গ্রেফতার হওয়া পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ঘনিষ্ঠ, অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল টাকা ও গয়নার পাহাড়। আবার এখনও অবধি শেষ গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীল, এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীর মধ্য়েও আর্থিক লেনদেনের তথ্য় মিলেছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায় এবং শ্বেতা চক্রবর্তীর মধ্য়ে আরও একটি মিল রয়েছে। দুজনই কামারহাটির বাসিন্দা। আর এনিয়েই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মুখ খুলেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। এই আবহে, এবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে মদন মিত্রর বক্তব্যকে ঘিরে। ফেসবুক পোস্টে মদন মিত্র বলেন, “সুযোগ পেলেই তৃণমূল কর্মীদের চাকরি দেবেন। আমাদের বহু ছেলে, বহুদিন সিপিএমের ৩৪ বছরে চাকরি পায়নি। কয়েক কোটি বেকার রেখে সিপিএম চলে গিয়েছিল। বেকার কি চিরকাল বেকার থাকবে? নিয়ম নীতি মেনে, প্রসেস মেনে এবং সত্যিকারের যারা এলিজিবল ক্যান্ডিডেট, তাদেরকে বঞ্চিত না করে, যদি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের চাকরি দেওয়া হয়, সেটা কোনও অন্যায় নয়। ২০০২ থেকে সিপিএম দিয়ে এসেছে, ৩৪ বছর ধরে সিপিএম দিয়ে এসেছে, দিল্লিতে বিজেপি একতরফা করে যাচ্ছে, আর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা চাকরি পাবে না?’’ তাঁর মন্তব্য় ঘিরে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরও নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন: Job Seekers Agitation: উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের SSC ভবন অভিযান, ধুন্ধুমার সল্টলেকে