উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুরে তৃণমূলের কোন্দল (TMC Clash) আরও তীব্র আকার নিয়েছে। ইসলামপুরের (Islampur) তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে ব্লক সভাপতিকে নিশানা চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের। 'সন্ত্রাস করছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন (Jakir Hossain)' ঠিকই বলেছেন আব্দুল করিম চৌধুরী, মন্তব্য চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের।


সন্ত্রাসের পাশাপাশি জমি দখলেরও অভিযোগ জাকিরের বিরুদ্ধে। যদিও এই প্রসঙ্গে জাকির হোসেনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ৮ মার্চ রাতে ইসলামপুরে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হয় এক তৃণমূল কর্মীর। এরপরই জেলা সভাপতি ও ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে সুর চড়ান আব্দুল করিম চৌধুরী। ২দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে বিধায়ক পদ ছাড়ারও হুমকি দেন। 


 গতকাল প্রার্থী বাছাই (Candidate Selection) নিয়ে ফের প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল মালদায়। মানিকচক ব্লকের নুরপুর অঞ্চলের তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ চলছিল। অঞ্চল নেতৃত্বের উপস্থিতিতে শুরু হয় বৈঠক। বৈঠকে তিন থেকে চারজন প্রার্থীর নাম উঠে আসে। আর এই নিয়ে শুরু হয়ে যায় বিবাদ। সেই বিবাদের জেরে নাক  ফাঁটে এক তৃণমূল কর্মীর।  আহত হন আরও দুজন তৃণমূল কর্মী। প্রার্থী বাছাই নিয়ে গন্ডগোলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। প্রার্থী বাছাইয়ের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। 


গতবছর সেপ্টেম্বরে তৃণমূলের (TMC) ২ নেতার অনুগামীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছল উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি। পুলিশ সূত্রে খবর আসে, দু’পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছিলেন। আহতদের সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কামারহাটি ESI হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তোলে সেবার। যদিও কামারহাটি থানা  সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি।এলাকা দখল ও তোলাবাজির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। কামারহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিযোগ, গুড্ডু নামে আরেক তৃণমূল কর্মীর অনুগামীরা এলাকায় তোলাবাজি করে। যাকে কেন্দ্র করে ক্রিক স্ট্রিটে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল দুই গোষ্ঠী।


আরও পড়ুন, OMR নষ্টের আগে ছবি! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সামনে নয়া সংস্থার নাম


কামারহাটির ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেছিলেন, 'তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন কথা নয়। যত সমাজবিরোধী আছে, তারাই তৃণমূল দলটাকে চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা, সাধারণ মানুষের টাকা লুঠ করে ভাগ-বাটোয়ারা করে খাচ্ছে। ভাগ নিয়ে বনিবনা না হলেও গুলি-বোমা চলছে। এ সবের সাধারণ মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দল বাঁচাতে ব্যস্ত, সরকারে মন নেই। তাই সবকিছুই ঢিলেঢালা। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে।'