কলকাতা: আদ্যা মা-র ভরসায় অস্ত্রোপচার (Operation) করাতে যাচ্ছেন। নাতি হাতে এঁকে দিয়েছে ছবি। প্রায় বুজে আসা গলায় এদিন মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, "অপারেশন করার পর আজ আইসিসিইউ-তে রাখবে। আগামীকাল বসবে মেডিক্যাল বোর্ড। তারপর সিদ্ধান্ত নেবে। জেনারেল অ্যানাস্থেসিয়া হবে।'' অস্ত্রোপচার করানোর আগে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কামারহাটির বিধায়ক। তাঁর হাতে ছিল আদ্যা মা। দেখা যায় মদন মিত্রর হাতে নানা ছবি আঁকা। জানালেন গতকাল রাতে নাতি এসে হাতে এঁকে দিয়েছে ছবি।



মঙ্গলবার রাতে আচমকাই অসুস্থ বোধ করায় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ চিকিৎসক অরুণাভ সেনগুপ্তর নেতৃত্বে ৮ সদস্যে মেডিক্যাল টিম বৈঠকে বসে। সিদ্ধান্ত হয়, অপারেশন করতেই হবে।  হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে সকালে মদন মিত্রর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে করোনা পরীক্ষার জন্যও নমুনা সংগ্রহ করা হয়।  গতকাল দুপুর ১টা নাগাদ মদন মিত্রকে ইনস্টিটিউট অব অটো রাইনো ল্যারিঙ্গোলজিতে নিয়ে যাওয়া হয়। টিউমারের অবস্থান জানার জন্য করা হয় অপটিক্যাল ফাইবার ল্যারিঙ্গোস্কোপি। এসএসকেএম সূত্রে জানা যায়, নভেম্বর মাসেই মদন মিত্রর ভোকাল কর্ড বা স্বরযন্ত্রে টিউমার ধরা পড়ে। কিন্তু, সেসময় নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অপারেশন করাননি তিনি। মদন মিত্রর অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক রয়েছে।


গতকাল মদন মিত্র জানান, “ডাক্তাররা টেস্ট করে বলল টিউমারটা বড় হয়ে গেছে। আমার তো আর ঘরে বসে থাকার বিষয় না। অপারেশন করতে পারিনি তখন। প্যালপিটিশন আছে। অপারেশন তো, অ্যানাস্থেসিয়া করবে। একটু তো চিন্তা আছেই। ’’


মঙ্গলবারই  তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রীর হুঁশিয়ারি প্রথমে সতর্ক করা হবে। তারপর শোকজ। না শুনলে সাসপেন্ডের পথে হাঁটবে দল। পাশাপাশি নাম না করে মদন মিত্রকে কড়া বার্তা দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'উল্টোপাল্টা বলে ভাইরাল হলাম। এসব দল সহ্য করবে না। এটাই শেষ সুযোগ। বেরিয়ে যেতে চাইলে যেতে পারেন।' যে প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে মদন মিত্র জানান, 'পার্থ দা তো আমাকে গতকালই বলব। তবে ঠিক কী ভুল করছি সেটাই বুঝতে পারছি না। সেটা জানালে শুধরে নিতে সুবিধা হয়।' যার উত্তরে চেনা মেজাজে মদন মিত্র বলেছিলেন, 'কেউ কেউ চাইছে বটে তবে তাদের বলে রাখি আমি শুভেন্দু অধিকারী নই।