পানাজি : প্রথমবারেই সৈকত রাজ্যে ভাল ফলের ইঙ্গিত তৃণমূলের (TMC)। প্রাথমিক ট্রেন্ডে ৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। গোয়ায় এখনও পর্যন্ত ১৬টি আসনে এগিয়ে বিজেপি ও ১২টিতে কংগ্রেস। আপ এগিয়ে একটি আসনে।


এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের বিপুল জয়ের পর থেকেই সৈকত শহরের দিকে নজর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের । গত অক্টোবরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করে লিখেছিলেন, '১০ বছর ধরে গোয়ার মানুষ ভোগান্তির শিকার। আমরা একসঙ্গে নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে নতুন ভোরের সূচনা করব, যা গোয়ার জনগণের সরকার হবে এবং তাঁদের সমস্ত দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। '


আরও পড়ুন ; পাঞ্জাবে চমকৌর সাহেব কেন্দ্রে এগিয়ে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চন্নি, মোট আসনে এগিয়ে কোন দল?


বিধানসভা নির্বাচনের কয়েকমাস আগে কংগ্রেস ছাড়েন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফালেইরো। নাভেলিমের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন ৭১ বছরের এই প্রবীণ নেতা। জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও করতে শোনা যায় তাঁকে। তারপরই ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেন লুইজিনহো। তাঁকে সামনে রেখেই  গোয়াতে ঘাসফুল ফোটানোর স্বপ্ন দেখে তৃণমূল। 


আরও পড়ুন ; ম্যাজিক ফিগারের দোরগোড়ায় লিড, সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী পাঞ্জাবে কি ক্ষমতায় আপ ?


২০২১ এর শেষাশেষি থেকেই সৈকত রাজ্যে রাজনৈতিক তত্‍পরতা বাড়ায় তৃণমূল। গোয়ায় ঘাঁটি করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সৌগত রায়, মানস ভুঁইয়া ও বাবুল সুপ্রিয়রা । গোয়ায় সক্রিয় ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকও। গোয়ায় বারে বারে  তৃণমূলনেত্রী একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি করেন। গোয়ায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  ' এখানে বিধানসভা আসন ৪০টি। দল আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। তিন মাসে গোয়ায় জোড়াফুল ফুটবে।' সমুদ্র শহরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘আমি বহিরাগত নই, আমিও গোয়ার সন্তান। আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সব জায়গায় যেতে পারি।'


গোয়ায় এবার বিজেপির প্রাক্তন জোটসঙ্গী মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি বা MGP-র সঙ্গে নির্বাচন পূর্ববর্তী জোট করে ঘাসফুল শিবির। ২০১৭ সালের গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ১১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি।  ২০১২ সালেও গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছিল তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উইলফ্রেড ডি’সুজা। গোয়া বিধানসভার ৪০টি আসনের মধ্যে, ২০-টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ১ দশমিক ৮১%।