কলকাতা : মঙ্গলবার মহাশিবরাত্রি। সারা ভারতে বিভিন্ন মহাদেব মন্দিরে ব্রত পালিত হবে। বেলুড় মঠেও প্রতিবছর অতি ভক্তি সহযোগে শিবপুজো হয়। এবারও পুজোর অন্যথা হবে না। তবে, করোনাকালের পর মন্দির খোলা ও বন্ধের সময়ের নতুন বিধি নিয়ম হয়েছে। সেই অনুসারে খোলা থাকবে মন্দির। বেলুড় মঠের ওয়েব সাইটে জানানো হয়েছে, শিবরাত্রির দিন (১লা মার্চ ২০২২) প্রথম-প্রহরের পূজায় ভক্তগণ উপস্থিত থাকতে পারবেন না ।
অন্যদিকে আবার, ৪ঠা মার্চ ২০২২, শুক্রবার, শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথির দিন, বেলুড় মঠ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য কেবল নির্দিষ্ট সময়ে খোলা থাকবে । অর্থাৎ সকাল ৬.৩০ টা থেকে বেলা ১১.৩০ টা । আবার বিকাল ৩.৩০ টে থেকে সাড়ে ৫ টা অবধি খোলা থাকবে। ঐ দিনের অনুষ্ঠানগুলি এবং বৈকালিক ধর্মসভা ইউ-টিউব -এর মাধ্যমে সম্প্রচারিত হবে।
করোনা আবহে প্রায় দেড়মাস বন্ধ থাকার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের খুলেছে বেলুড় মঠ। সকাল ৭টা থেকে ১১টা ও দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে মঠের ( Belur Math ) দরজা। আগের মতোই কোভিড বিধি মেনে ঢুকতে হচ্ছে ভক্ত ও সাধারণ দর্শকদের। মন্দির দর্শন ও মহারাজদের প্রণাম করার অনুমতি থাকলেও সন্ধের আরতি দর্শন করা যাবে না। বন্ধ ভোগ বিতরণও। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কোভিড বিধি শিথিল করা হবে মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। করোনা আবহে গত পয়লা জানুয়ারি থেকে বন্ধ ছিল বেলুড় মঠ।
বেলুড় মঠের ওয়েবসাইটে ( https://belurmath.org ) অনুরোধ জানানো হয়েছে -
- অনুগ্রহ করে মাস্ক/ফেস কভার পরুন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
- অনুগ্রহ করে নিজের এবং অন্যদের মধ্যে কমপক্ষে ২ মিটার (৬ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখুন।
- প্রবেশের সময় সমস্ত ভক্ত/দর্শকদের স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং/থার্মাল স্ক্রিনিং করাতে হবে।
- শুধুমাত্র উপসর্গহীন (সরকার / ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা অনুযায়ী) ভক্ত/দর্শনার্থীদের প্রাঙ্গনে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
- বড় লাগেজ / লাগেজ নিয়ে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না, শুধুমাত্র ছোট হাত ব্যাগ নেওয়া যেতে পারে।
- মঠ প্রাঙ্গনে ফটোগ্রাফি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- থুতু ফেলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
- দয়া করে ময়লা ফেলবেন না।
- ভক্তদের শুধুমাত্র শ্রী রামকৃষ্ণ মন্দির, শ্রী সারদা দেবী মন্দির, স্বামী বিবেকানন্দ মন্দির এবং স্বামী ব্রহ্মানন্দ মন্দির - এই চারটি মন্দির দেখার অনুমতি দেওয়া হবে।
- অনুগ্রহ করে শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে প্রণাম করুন।
- মন্দিরে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম বা বসে প্রণামের অনুমতি দেওয়া হবে না।
- মন্দিরে বসা ও ধ্যান করা যাবে না।
- মন্দিরের নির্দিষ্ট জায়গায় নৈবেদ্য রাখতে হবে।
- পুরাতন মন্দির এবং স্বামীজির কক্ষে যাওয়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
- গঙ্গায় স্নান করার ক্ষেত্রে নিষেধ।
- পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রসাদ বিতরণ স্থগিত থাকবে।