জয়ন্ত রায়, মহেশতলা : অটোচালকের (Auto Driver) সততায় লক্ষাধিক টাকা ফেরত পেলেন বেসরকারি সংস্থার এক কর্মী। সততার জেরে জুটল পুরস্কার। স্বভাবতই খুশি অটোচালক। মহেশতলা (Maheshtala) থানা এলাকার ঘটনা।
গতকাল রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বজবজ পায়েস্তার মোড় থেকে মহেশতলার দিকে সস্ত্রীক অটোতে বাড়ি ফিরছিলেন নুঙ্গিপাড় বাংলার বাসিন্দা সুরজিৎ সাহা। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিল অফিস-ব্যাগটি। সুরজিৎ একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। ওই ব্যাগের মধ্যে নগদ দুই লক্ষ টাকা, ল্যাপটপ এবং দরকারি কাগজপত্র ছিল। অন্যমনস্কতার বশে অটো থেকে নামার সময় কোনওভাবে ব্যাগটি ভুলে আসেন সুরজিৎবাবু। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে বাড়িতে স্ত্রীকে রেখে এসে বজবজ ফাঁড়ি এবং মহেশতলা থানায় বিষয়টি জানান।
আরও পড়ুন ; সততার নজির, ২০ লক্ষ টাকার গয়নাভর্তি ব্যাগ ফেরালেন অটো রিকশা চালক
দুই থানার পুলিশ রাস্তায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেও কোনও ভাবেই অটোটিকে চিহ্নিত করতে পারছিল না। এই পরিস্থিতিতে আজ সকালে অটো ড্রাইভার মহেশতলা থানায় ব্যাগটি ফেরত দেন। অটোচালকের এই সততার কারণে মহেশতলা থানার পুলিশ তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা জানায়।
পাশাপাশি, সুরজিৎবাবুও অটোচালক শেখ রবিয়ালকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কৃত করেন। সামান্য অটোচালকের এহেন কর্মকাণ্ডে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলেই। অটোচালক শেখ রবিয়ালও নগদ পাঁচ হাজার টাকায় পুরস্কৃত হওয়ায় যথেষ্ট আপ্লুত।
ট্যাক্সিচালক, অটোচালক, রিকশাচালকদের সততার নজির নতুন নয়। মাঝেমধ্যেই তাঁদের টাকা, গয়নাভর্তি ব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়ার কথা শোনা যায়। গতবছরও এরকমই ঘটনা দেখা গিয়েছিল চেন্নাইয়ে। সততার পরিচয় দেন এক অটো চালক। তিনি ২০ লক্ষ টাকার গয়নাভর্তি একটি ব্যাগ ফিরিয়ে দেন এক যাত্রীকে। অটোচালকের নাম জানা গেছিল- সরবন কুমার। সততার জন্য চেন্নাই পুলিশ তাঁকে সম্মানিতও করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পল ব্রাইট নামে এক ব্যক্তি তাঁর আত্মীয়র বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় তিনি অটো রিকশায় চড়েন। তাঁর কাছে কয়েকটি ব্যাগ ছিল। তার মধ্যে একটি ব্যাগে গয়না ছিল। অটোয় বসে ফোনে কথা বলছিলেন পল। অটো থেকে নামার সময় তিনি গয়নাভর্তি ব্যাগটি ফেলে রেখে যান। পরে অটোর পিছনের আসনে পড়ে থাকা ব্যাগটি নজরে আসে চালকের। ব্যাগটি নিয়ে সোজা থানায় চলে যান ওই চালক।