সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পরিচারিকার (maid) রক্তাক্ত দেহ (body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য পুরুলিয়া (purulia) শহরে। একই বাড়িতে ক্ষতবিক্ষত (injured) অবস্থায় গৃহকর্ত্রীও (owner's wife)। কী ভাবে ঘটল এমন, জানার চেষ্টায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে প্রতিবেশিদের ধারণা ওই পরিচারিকাকে খুন (murder) করা হয়েছে। খুনের অভিযোগ বাড়িতে কর্মরত দুই কাঠমিস্ত্রির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা ফেরার।
কী ঘটেছিল?
নিহতের নাম পার্বতী বাদ্যকার বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বয়স ৫৫ বছর। তাঁর বাড়ি স্থানীয় পোকা বাঁধ বাড়ায়। পুরুলিয়া শহরের দর্জিপাড়ায় এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন পার্বতী। ওই ব্যবসায়ীর নাম প্রদীপ দাস কর্মকার। তাঁর স্ত্রী, নন্দিতা দাস কর্মকারকেও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। বাহান্ন বছরের প্রৌঢ়া জখম অবস্থায় এখন চিকিৎসাধীন। হঠাৎ কী থেকে এমন ঘটনা,তা নিয়ে এলাকায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রহস্যের আঁচ পরতে পরতে। কিছুটা নিরাপত্তার অভাবও অনুভব করছেন স্থানীয়রা। পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খোঁজ চলছে ফেরার অভিযুক্তদেরও।
খুনের অভিযোগে চাঞ্চল্য আগেও...
গত মাসেই হাড় হিম করা জোড়া খুনের খবরে শিরোনামে এসেছিল পুরুলিয়া। সে বার ঘটনা ঘটে পুরুলিয়া মফস্বল থানা এলাকার কানালি গ্রামে। রাতে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন এক পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার ও তাঁর ছেলে। ম্যানেজারের কাছে থাকা পেট্রোল পাম্পের টাকা লুঠ করতেই কুপিয়ে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করেছিল পুলিশ। ঘটনার প্রতিবাদে পর দিন সকাল ৭টা থেকে ৯টা,২ ঘণ্টা পুরুলিয়া-বোকারো ৩২ নম্বর জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। পুলিশের আশ্বাসে অবশেষে সেই অবরোধ ওঠে। স্থানীয় সূত্রে খবর মিলেছে,পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার মদনচন্দ্র পাণ্ডে ও তাঁর ছেলে কানাইলাল পাণ্ডে গতকাল রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ,বাড়ির কাছেই দুষ্কৃতীরা তাঁদের মোটরবাইক আটকে হামলা চালায়। এলোপাথাড়ি কোপে মৃত্যু হয় বাবা ও ছেলের।
কিন্তু পুরুলিয়া শহরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে পরিচারিকার দেহ উদ্ধার ঘিরে এখনও বহু প্রশ্নের উত্তর অধরা। যার অন্য়তম, কেন হঠাৎ এমন কাজ করতে গেল অভিযুক্তরা? অর্থলোভ নাকি অন্য কোনও ব্যাখ্য়া রয়েছে এর নেপথ্যে?স্পষ্ট নয় অনেকটা অংশই। তবে সাধারণ মানুষের চোখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট।
আরও পড়ুন:গ্রিক পুরাণের দেবীর নামে নামকরণ, আজই রওনা দিচ্ছে নাসার 'আর্তেমিস ১'