ঝিলম করঞ্জাই: আশঙ্কা ছিল। ভয় ছিল। কিন্তু সেই ভয় দূর করেই জটিল অস্ত্রোপচারে (operation) সফল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের (Rampurhat Medical College) চিকিৎসকরা। এক রোগিণীর শরীরে দানা বেঁধেছিল টিউমার (tumor)। তাও আবার স্তনে (breast)। তাঁকে সুস্থ করতে ৯ কেজি ওজনের ফিলোয়েডস টিউমার সহ বাদ দিতে হয়েছিল স্তনটি। তবে চিকিৎসকদের প্রচেষ্টা ছিল যাতে রোগীর শরীরে ফের স্তন পুনঃস্থাপন করা যায়। আর সেই চেষ্টায় সফলও হলেন তাঁরা। রোগীর নিজের শরীরেরই ল্যাটিসিমাস ডোরসি মায়োকিউটেনিয়াস ফ্ল্যাপের মাধ্যমে পুনরায় নির্মিত হয়েছে বাদ যাওয়া স্তনটি। চলতি ভাষায়, তাঁর পিঠের মাংসপেশীর অংশ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে বক্ষে। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের এই প্রচেষ্টা সারা ফেলে দিয়েছে চারিদিকে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, দিব্যি সুস্থ আছেন রোগী এই মুহূর্তে।
রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের আট চিকিৎসকের দল কার্যত যে অসাধ্যসাধন করেছেন। চিকিৎসক সিদ্ধার্থ বিশ্বাস, চিকিৎসক ভিক্টর রায়, চিকিৎসক রুদ্র শঙ্কর দে, চিকিৎসক সুমন দে, চিকিৎসক অনিমেষ চট্টোপাধ্যায়, চিকিৎসক মণিশঙ্কর নাথ, চিকিৎসক সূর্যাংশু মুখার্জী ও চিকিৎসক আনিসুল ইসলাম কয়েক ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার সারেন। তাদের কথায়, রোগিণী বক্ষে অস্বাভাবিক যন্ত্রণা ভোগ করছিলেন। তারপরই রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের দ্বারস্থ হন তিনি। জটিল অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন করার পরে স্বস্তির হাসি চিকিৎসকদের মুখেও।
প্রসঙ্গত, এক মহিলার শরীর থেকে ১০ কেজি ২৮ গ্রাম ওজনের টিউমার (Huge Tumour)বার করেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকেরা। প্রায় দু’ঘণ্টার ওই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। রোগিনী আপাতত স্থিতিশীল। তাঁকে রোগমুক্ত দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন পরিবারের লোকজনও। উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে বাস থেকে নামার সময় ডান স্তনে আঘাত পান এক মহিলা। তার কিছু সময় পর স্তনের উপর ছোট একটি টিউমার গজিয়ে উঠতে দেখেন তিনি। প্রথমে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হলেও, যত সময় যেতে শুরু করে, ততই আয়তনে বাড়তে থাকে ওই টিউমার।
আরো পড়ুন: আগামী রবিবার ৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকবে বিদ্যাসাগর সেতু