নদিয়া: ম্যাকাউটের (MAKAUT) হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে 'আত্মঘাতী' এম টেকের ছাত্রী। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। সকাল থেকে অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও শিক্ষাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেন ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরেই অপেক্ষা করছেন তাঁরা। আত্মহত্যার ঘটনার জেরে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধ।
ঘটনা কী?
এবার প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে 'আত্মঘাতী' ছাত্রী। ছাদ থেকে 'ঝাঁপ' দিয়ে ছাত্রীর মৃত্যু বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি। ঘটনার জেরে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল এই ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাম্বুল্যান্স না থাকার অভিযোগে রাতে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, পরীক্ষায় টোকাটুকির সময় ধরা পড়েন এম টেকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। খাতা কেড়ে নেওয়ায় ছাদে গিয়ে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। আত্মহত্যার ঘটনার জেরে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত পরীক্ষা বন্ধ। আজই দেহের ময়নাতদন্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, "পরীক্ষা চলছিল। গত ৫ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে। বিভাগীয় প্রধান জানিয়েছেন ইনভিজ়িলেটর দেখেন যে টোকাটুকি করছে। তার কাগজপত্র দেখে সেটা নিয়ে পরীক্ষার খাতার সঙ্গে স্টেপল করে দেন। সম্ভবত কিছু রিমার্ক লিখে দেন। হয়ত এটা অসম্মানজনক মনে হয়েছে। মা জানতে পারলে কী হবে। পরীক্ষা যদি বাতিল করা হয়, এরকম আশঙ্কা থেকেই সম্ভবত এই কাজ করেছে।''
এর আগে 'ক্লাসরুমে বিয়ে' বিতর্ক তৈরি হয় এই ম্যাকাউটে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলবজি বা ম্য়াকাউটের হরিণঘাটা ক্য়াম্পাসে, এই বিয়ের আসরের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল। বিতর্কের মুখে, অধ্য়াপিকা দাবি করেন, বিয়ে নয়, পুরোটাই নাটকের স্ক্রিপ্ট। এরপর অধ্য়াপিকাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। ক্লাসরুমে কী ঘটেছিল, কেন অধ্যাপিকা এমন কাণ্ড ঘটালেন, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি তৈরি করে বিশ্ববিদ্য়ালয় কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেই কমিটি রিপোর্ট দেয়। তাতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়, শ্রেণিকক্ষে অধ্যাপিকা যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, তা কোনও কারিকুলাম বা পাঠক্রমের অংশ ছিল না। তদন্ত রিপোর্ট দেখে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলেন, 'নাটকের অংশ নয়, নোংরা মজা' ছিল। বিতর্কের মধ্য়েই, ইস্তফাপত্র দেন অধ্য়াপিকা অ্য়াপ্লায়েড সাইকোলজির বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। বিশ্ববিদ্য়ালয় সূত্রে জানা যায় রেজিস্ট্রারের কাছে মেল মারফৎ ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি।
আরও পড়ুন: Prayagraj Train Chaos: AC কামরার দরজা না খোলায় ভাঙল কাঁচ, ফের প্রয়াগরাজগামী ট্রেনে ধুন্ধুমার