সন্দীপ সরকার, কলকাতা: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া (malaria) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক (health ministry) রাজ্যের (west bengal) দেওয়া যে ম্যালেরিয়া-রিপোর্ট (malaria report) প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেল গত ২ মাসেই বাংলায় এই রোগে আক্রান্তের (infected) সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। তার উপর বর্ষার মরসুম এখনও শেষ হয়নি। সব মিলিয়ে চিন্তা থাকছেই।
কী বলছে পরিসংখ্যান?
ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো পতঙ্গবাহিত রোগগুলির তথ্য় রাজ্য নিয়মিত কেন্দ্রকে পাঠিয়ে থাকে। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ এপ্রিল রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৬০। ৩০ জুন অর্থাৎ ঠিক দুমাসের মাথায় তা পৌঁছে গিয়েছে ৪ হাজার ৫১৫-য়। আক্রান্তের সংখ্যার এমন বাড়বাড়ন্তে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, মে ও জুনের এই তথ্য আসলে প্রাক-বর্ষার ম্যালেরিয়া আক্রান্তের তথ্য। অর্থাৎ বর্ষা আসার আগে রাজ্যে কজন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন সেটাই ধরা পড়েছে এই পরিসংখ্যানে। কিন্তু চলতি মাস ও তার আগের মাসের পরিসংখ্যান ধরলে ছবিটা আরও উদ্বেগজনক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জুলাই-অগাস্ট-সেপ্টেম্বরকে মোটামুটি ভাবে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গির মাস বলে ধরা হয়। গত দুমাসে রাজ্যে অনেকেরই ম্যালেরিয়া ধরা পড়েছে। ফলে সবটা বিবেচনা করলে আক্রান্তের পরিসংখ্যান আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
লালচোখ ডেঙ্গিরও
ম্যালেরিয়ার পাশাপাশি রাজ্যে ফিরেছে ডেঙ্গি আতঙ্কও। রোগ-প্রতিরোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। সেই বার্তার পরেই সতর্কবার্তা মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর। রাজ্যে ফের ফিরে এসেছে ডেঙ্গি আতঙ্ক। ইতিমধ্যে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর মিলেছে। এরইমধ্যে ডেঙ্গি প্রতিরোধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তার পরে পথে নেমেছিল বিধাননগর পুরনিগম। গত সপ্তাহের সোমবার বিধাননগর পুরনিগমের অর্জুনপুর, দেশবন্ধু নগরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ডেঙ্গি সচেতনতা যাত্রা করা হয়। সচেতনতা যাত্রায় বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ মেয়র পরিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা পা মেলান। ডেঙ্গি সচেতনতা ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার নিয়ে এই পদযাত্রা করা হয়। এর মধ্যে কালীঘাটে এক বালকের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয় বলে খবর। জ্বর হওয়ায় তাকে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিশাখ মুখোপাধ্যায়ের। শহরবাসীকে সচেতনতার দেন কলকাতা পুরসভার মেয়রও।
আরও পড়ুন:সিবিআই-এর খাতায় তিনি 'বেপাত্তা', বিধানসভায় এলেন মানিক, বললেন, '১০০% সহযোগিতা করেছি'