অভিজিৎ চৌধুরী ও করুণাময় সিংহ, মালদা: অঙ্গনওয়াড়ির (Anganwadi) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মালদায় (Malda)। অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী পচা আলু দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকি পরিমাণের তুলনায় কম চাল-ডাল দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন অভিভাবকরা। তাতে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বাড়ির বিরুদ্ধে দল বেঁধে বিক্ষোভ দেখান সকলে।


মালদার ১ নম্বর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রামের ঘটনা। অভিভাবকদের দাবি, অঙ্গনওয়াড়ি থেকে পচা আলু দেওয়া হয়েছে। চাল এবং ডালের পরিমাণও বরাদ্দ পরিমাণের চেয়ে কম। এ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। বরং তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় তাঁদের সঙ্গে।


তাতেই মঙ্গলবার দুপুরে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বিনতি রনিয়ার বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, বিনতিদেবী নিজে, তাঁর স্বামী শম্ভু সাহা এবং ছেলে অনুপকুমার সাহাও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। অভিযোগ জানাতে গেলে অকথ্য ভাষায় তিরস্কার করেন, এমনকি মারতেও আসেন। তাতেই বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হন তাঁরা।


আরও পড়ুন: Bankura: এবিপি আনন্দের খবরের জের, বাঁকুড়ায় মেরামত করা হল ত্রিফলা বাতি


যদিও বিনতিদেবী যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “বস্তায় পচা আলু থাকলেও, অভিভাবকদের সেগুলি দেওয়া হয়নি। কয়েক দিন আগে থেকে প্যাকটে মুড়ে রাখা ছিল। হতে পারে তাতে একটু পচন ধরেছে। সেগুলি পাল্টে দেওয়া হবে।”


উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলে দাবি বিনতিদেবীর। কিন্তু গোটা ঘটনায় তাঁর স্বামী এবং ছেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রতিবাদ জানাতে এ দিন রাস্তায় আলু ছড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁদের কম পরিমাণ চাল-ডাল এবং পচা আলু ধরানো হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।


কিন্তু বিনতিদেবী সাফাই দিলেও, ক্ষোভ মিটছে না স্থানীয়দের। এই বিষয়ে সুপারভাইজার তপতী কৈইলঠার মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, “সরকারি নির্দেশিকায় ১৮ টাকা কেজি দরে আলু দিতে বলা হয়েছে। পচা আলু দেওয়া হয়ে থাকলে, অভিযোগ জানান গ্রামবাসীরা। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”