করুণাময় সিংহ, মালদা: বালি-পাথরের খাদানের বখরায় দলের নেতাদের ভাগ বসানোর অভিযোগ উঠে এসেছে একাধিক বার। বগটুইকাণ্ডেও খাদান সংযোগ উঠে এসেছে। তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন  খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অভিযোগ জমা পড়লে রং না দেখে সকলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যেই নদী থেকে মাটি তোলা (Clay Mine) নিয়ে মালদায় তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।  তাতে নাম জড়াচ্ছে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকরেও। 


মাটি খাদান নিয়ে জোর তরজা


মালদায় (Malda News) মাটি তোলা নিয়ে সরব হয়েছেন রতুয়ার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক এবং রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগে সমর্থন জানিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি।  অভিযোগ, আগের মতোই মাটি পাচার চলছে। তাই সিবিআই-কে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন তাঁরা। গোটা ঘটনায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের দাবি, মাটি পাচারের কোটি কোটি টাকা নিয়েই বিবাদ বেধেছে। 


ফুলহার নদী থেকে মাটি কাটা এবং তা পাচারের অভিযোগ। বিধায়ের দাবি,  ফজলুল হক তৃণমূলের বোরখা পড়ে থাকেন। কিন্তু আদতে তিনি বিজেপি। আইসি-কে বদলি করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, রাতে মাটি মাফিয়ারা গিয়ে টাকা জমা দিয়ে আসে থানায়।  ভিতরে ভিতরে টাকার লেনদেন চলছে, তাই অপরাধ চলছে অবাধে।  বিজেপি-র সঙ্গে ষড় করে এই অপরাধ ঘটানো হচ্ছে বলে দাবি বিধায়কের। কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাবেন বলেছেন। 


আরও পড়ুন: Bankura Elephant: সবজি বাজারে তাণ্ডব, স্থানীয়দের তাড়া করে আতঙ্ক ছড়াল দলছুট দাঁতাল।Bangla News


যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফজলুল হক। তিনি বলেন, "উনি পাগল হয়ে গিয়েছেন। ওঁর জানা উচিত যে, আমি একজন শিক্ষক। তিনি যে কথাগুলো বলছেন, সেগুলি মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।  উনি এখানে সিবিআই ডাকুন। তদন্ত করে প্রমাণ করুন, এখানে ফজলুল হক জড়িত কিনা।"


সিবিআই তদন্তের দাবি


যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, "বিধায়কের বাড়ি ওখানে। উনি যা বলছেন, সঠিক কথাই বলছেন। আমরা এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সাথে কথা বলব।" যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, "মাটি নিয়ে কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে। আর সেই টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই গন্ডগোল। প্রশাসন এবং তৃণমূলের নেতারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত।"