করুণাময় সিংহ, মালদা: মালদা (Malda) জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির পদ বন্টন ঘিরে প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব। আর এর জেরে দলের জেলা পরিষদ সদস্য়দের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের মালদা জেলার সভাপতি।


বিদায়ী কর্মাধক্ষ্যের বিস্ফোরক অভিযোগ, দালাল চক্রের বিনিময়ে এই পদ দেওয়া হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ এই দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি।


দালাল চক্রের বিনিময়ে পদ দেওয়া হয়েছে, বিস্ফোরক বিদায়ী কর্মাধক্ষ্য। দলের অন্দরের দ্বন্দ্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি। মালদার তৃণমূল নেতা এবং বিদায়ী কর্মধ্যক্ষ শামসুল হক বলেন, 'কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। কে বা কারা কোন দালাল চক্র করল। এটা হতে পারে। কারণ জেলা পরিষদের সদস্য়দের স্থায়ী সমিতিতে নাম নেই। এটা অসম্ভব। এটা মানা যায় না। একশো শতাংশ চক্র আছে।'


মালদা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতির পদ বন্টন ঘিরেও প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের অন্দরের দ্বন্দ্ব। মালদা জেলা পরিষদ সদস্য়দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছ তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে। উঠল, দালাল চক্রের বিনিময়ে জেলা পরিষদের পদ পাইয়ে দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগও। মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য রেহানা পরভিন বলেন, 'কেন দেওয়া হয়নি সেটা জেলা সভাপতিই উত্তর দেবেন। বিধানসভা ২০২১-এ আমাদের মালতিপুর বিধানসভায় মানুষ দু হাত তুলে ভোট দিয়েছেন। তারপরেও মালতিপুর থেকে কর্মাধ্য়ক্ষ করা হয়নি।'


পঞ্চায়েত ভোটে  (Panchayat Election)  মোট ৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৪টি আসন দখল করে মালদা জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। মঙ্গলবার ছিল জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন। অভিযোগ অভিজ্ঞ সদস্য়দের বাদ দিয়ে পদ বন্টন করা হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে তুমুল বিতণ্ডা শুরু হয়। জেলা সভাপতিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য়দের একাংশ। মালদা তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, 'সেতো খুশি না খুশি ব্য়ক্তিগত ব্য়াপার। দল যা ঠিক করে দিয়েছে তাই হবে। দলের রাজ্য় কমিটি থেকে এসেছে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ সব দলে থাকে। আপনার বাড়িতেও থাকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ওই ক্ষোভ-বিক্ষোভটা যদি আপনি বাজারে নিয়ে যান সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে যায় ঠিক হবে না। বাড়িতে দু কথা হতেই পারে। সে আলোচনা সাপেক্ষে আমরা ঠিক করব।'


এই দ্বন্দ্বের ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির মালদা দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, 'পুরনো চোরদের চেঞ্জ করে নতুন চোরদের এনেছে। এদের সর্বভারতীয় নেতৃত্ব যিনি অভিষেক ব্য়ানার্জি তিনি আগেই বলেছিলেন নতুন তৃণমূল তৈরি হবে। সেই নতুন তৃণমূলের লক্ষ্যে পুরনো চোর বাদ দিয়ে নতুন চোর করা হয়েছে। এটা ২টো উদ্দেশে করা হয়েছে। এক হচ্ছে নতুন চোরদের থেকে বেশি টাকা সংগ্রহ করা যাবে। আর মানুষের কাছে দেখানো যাবে নতুন মুখ দেওয়া গেল।'


আরও পড়ুন: আবাস যোজনার টাকায় দোকানঘর! বিডিওর কাছে নালিশ