করুণাময় সিংহ, মালদা: ভোট গণনা শেষ হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও, মালদার গাজোলে গণনা কেন্দ্রে পড়ে রয়েছে সিল করা ব্যালট বাক্স। গাজোলের হাজি নাকু মহম্মদ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনা হয়েছিল গাজোল ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের।

  


গতকাল জানা যায়, ফল ঘোষণার পর এখনও গণনা কেন্দ্রে পড়ে আছে ৩টি সিল করা ব্যালট বাক্স। সকালেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বিশাল পুুলিশ বাহিনী নিয়ে ওই স্কুলে পৌঁছন গাজোলের বিডিও। ভোট গণনার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও কীভাবে গণনা কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পড়ে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।  স্কুলের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী, মোতায়েন আছে কেন্দ্রীয় বাহিনীও। 


অন্যদিকে , সাতসকালে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে মাথাভাঙা নদীর ধার থেকে মিলল বিজেপি ও সিপিএমের প্রতীকে ছাপ মারা বেশ কিছু ব্যালট পেপার।উদ্ধার হওয়া ব্যালট পেপারে সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী ও বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর নামের পাশে ছাপ মারা রয়েছে।গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভোটের পরেই নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল ব্যালট পেপার। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীদের জেতাতে বিডিও-র যোগসাজশে এভাবেই কারচুপি করা হয়েছে। সিপিএম ও তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।   


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েত ভোট শেষ হতে না হতেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু, রাজ্যে আসছে কমিশনের প্রতিনিধিদল


 ভোট গণনার প্রায় এক সপ্তাহ পরেও কীভাবে গণনা কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পড়ে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। সালাইডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত ১৫ তারিখ স্কুল খলে দেখি ৪টে ঘর তালাবন্ধ। ২টো তালা খুলে ২টো তালা ভাঙা হয়। 


এদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ হতে না হতেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু। খুব তাড়াতাড়ি রাজ্যে আসছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিদল। নেতৃত্বে বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার নীতেশ ব্যাস। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে বোমা উদ্ধার, গুলি, মৃত্যু, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সব কিছুই খতিয়ে দেখবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অগাস্টের শেষে কমিশনের ফুল বেঞ্চের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজ্যও। ২২ জুলাই সমস্ত জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। ইভিএমের ফার্স্ট লেভেল চেকিং শুরু হবে অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে। আজ থেকেই জেলায় জেলায় ভোটার তালিকা সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হচ্ছে। প্রথমে উত্তরবঙ্গে যাবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। এরপর ধাপে ধাপে দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির ভোটার তালিকার কাজ নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি।