করুণাময় সিংহ, মালদা: ফের সর্বসমক্ষে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (TMC)। হরিশচন্দ্রপুরে তৃণমূল কর্মীকে অপহরণের অভিযোগ দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার (Malda News) হরিশচন্দ্রপুরে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বাড়ি থেকে ওই তৃমমূল কর্মীকে অপহরণ (Kidnap) করা হয় বলে অভিযোগ।
তৃণমূল কর্মীতে অপহরমের অভিযোগ দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারী গ্রামের ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর শনিবার রাতে নিজের বাড়ি থেকে অপহৃত হন আব্দুল বারিক নামের এক তৃণমূল কর্মী। তিনি এলাকার প্রভাবশালী নেতা উনসা হক গোষ্ঠীর সদস্য বলে পরিচিত। উনসা হকের সঙ্গে আবার বনিবনা নেই আবদুল বসিরের। দু’জনেই তৃণমূল করেন, কিন্তু পৃথক গোষ্ঠী চালান বলে জানা গিয়েছে।
তাঁদের ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ আবদুল বারিকের পরিবারের। তাঁদের অভিযোগ, আবদুল বসিরের লোকজনই তাঁকে অপহরণ করেছে। তাই হরিশচন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা। তাতে আবদুল বসির-সহ ১৫ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই ফেরার অভিযুক্ত আবদুল বসির এবং তাঁর লোকজন। ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: Durgapur : আউটডোরে সময়ে আসছেন না চিকিত্সকরা ? এই হাসপাতালের পরিষেবায় সমস্যায় ৮ থানা এলাকার মানুষ
এই গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, "কেবলমাত্র হরিশ্চন্দ্রপুর নয়, গোটা বাংলা জুড়ে কাটমানি এবং এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলছে।" ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, "দল এই ধরনের ঘটনাকে বরদাস্ত করবে না। কেউ দলের নাম ভাঙিয়ে বেআইনি কাজ করলে, প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।"
দীর্ঘ সংঘাতের ইতিহাস
উল্লেখ্য, বিগত দুই দশক ধরে আব্দুল বসির এবং উনসা হকের মধ্যে বিবাদ। তার জেরে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হরিশচন্দ্রপুরের ওই এলাকা। এমনকি রক্তপাতও ঘটেছে। তার পরও পরিস্থিতি বদলায়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।